জুমবাংলা ডেস্ক : টাকা তুলতে না পেরে একটি ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন গ্রাহকরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে চাঁদপুর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফয়সাল শপিং কমপ্লেক্স অবস্থিত সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শাখায় ঘটনাটি ঘটে। শাখাটির ব্যবস্থাপক মো. মাহবুব আলম ও চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।
গ্রাহকরা জানান, আজ সকালে তারা টাকা তুলতে চেক নিয়ে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে আসেন তারা। এ সময় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ করে দেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন গ্রাহকরা। পরে তারা ব্যাংকের প্রবেশ গেটে তালা লাগিয়ে দেন। পরে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসে গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ব্যাংকের গ্রাহক ইয়াকিন খান বলেন, ‘দুই সপ্তাহ ধরে ব্যাংকে আসছি টাকার জন্য। তারা টাকা দিতে পারছে না। ব্যাংকে আসলে তারা বলে, সামনের সপ্তাহে আসেন ঠিক হয়ে যাবে। আজকে ব্যাংকে এসে দেখি কোনো টাকা দিচ্ছে না। পরে টাকা নিতে আসা অন্য সব গ্রাহক জড়ো হয়ে ব্যাংকের প্রবেশ গেটে তালা লাগিয়ে দেন। আমরা আমাদের টাকা ফেরত চাই।’
ব্যাংকের শাখাটির ম্যানেজার মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘রোববার ও গতকাল সোমবার লেনদেন চালু ছিলো। সেদিন গ্রাহকদের সাধ্যমত টাকা দিতে পারিনি। আজ ব্যাংকে পুরোপুরি লেনদেন বন্ধ রাখা হয়। যে কারণে গ্রাহকরা ক্ষিপ্ত হয়ে বাইরে দিয়ে তালা মেরে দেন। আমরা প্রধান কার্যালয়ে কথা বলেছি, উনারা আমাদের ২০ লাখ টাকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আশা করি, টাকাগুলো আসলে গ্রাহকদের ৫-১০ হাজার টাকা করে দিতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি গ্রাহকদের বলবো, আপনারা একটু ধৈর্য ধরুন। ব্যাংক অবশ্যই আগের মত দাঁড়িয়ে যাবে। ব্যাংকের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমাদের কিছুদিন সময় দিতে হবে।’
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘আমরা খবর পাই, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে এসে গ্রাহকরা ভিড় জমাচ্ছেন, তারা তাদের টাকা পাচ্ছেন না। পরে থানা থেকে টহল পার্টি ব্যাংকে পাঠানো হয়। পরিস্থিতি আরও অবনতি হলে তখন আমি নিজে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করি। আমি ব্যাংকের ম্যানেজার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কিছু টাকা আনার ব্যবস্থা করি। আশা করছি, যে টাকা আসবে তা দিয়ে গ্রাহকদের আপাতত সন্তুষ্ট করা যাবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।