জুমবাংলা ডেস্ক: ডলারের বিপরীতে টাকার মান আরও কমল। সোমবার (৯ মে) প্রতি মার্কিন ডলারের বিনিময় মূল্য ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টাকার মান কমায় লাভবান হবেন রফতানিকারক ও প্রবাসীরা। এদিকে আমদানিকারকদের খরচ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের শুরুতে ডলারের বিনিময়মূল্য ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২৩ মার্চ তা আবার ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ২০ পয়সা করা হয়েছিল। গত ২৭ এপ্রিল ২৫ পয়সা বাড়িয়ে ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা করা হয়েছিল।
ডলারের দাম বাড়িয়ে ও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের দাম চাহিদা ও জোগানের ওপর ছেড়ে দেওয়া উচিত।
এ ব্যাপারে ব্যাংকাররা বলছেন, ঈদের কারণে দেশে ভালো প্রবাসী আয় এসেছে। তবে আমদানি খরচ যে হারে বেড়েছে, প্রবাসী আয় ও রফতানি আয় দিয়ে সেই খরচ মেটানো যাচ্ছে না। ফলে ডলার নিয়ে দেশের মুদ্রাবাজারে এখন অস্থিরতা বিরাজ করছে।
ডলারের সংকট শিগগিরই কমার কোনো লক্ষণ নেই। এ সংকটের প্রভাব পড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে। পাশাপাশি ব্যাংক ব্যবস্থায় নগদ টাকারও সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। এতে চলতি হিসাবে লেনদেন ভারসাম্যেও ঘাটতি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বিশ্ববাজারে বাড়ছে পণ্যের দাম ও আমদানি খরচ। সে তুলনায় বাড়েনি প্রবাসী আয়। এতে ব্যাংক ব্যবস্থা ও খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। আর এ সময় রফতানি আয় যা বেড়েছে, তা দিয়ে ডলারের চাহিদা মিটছে না। এ কারণে প্রতিনিয়ত ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে কমছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।
টাকার পাশাপাশি কমেছে প্রতিবেশী দেশ ভারতের রুপির মান। দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক সোমবার (৯ মে) প্রতি ডলারের দাম ৭৭ দশমিক ৫৩ রুপি নির্ধারণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।