Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ৫ হাজার কোটি টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির মালিক তাকসিম এ খান!
    অপরাধ-দুর্নীতি জাতীয়

    ৫ হাজার কোটি টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির মালিক তাকসিম এ খান!

    August 15, 20249 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্ত্বেও প্রায় ১৫ বছর ধরে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে ছিলেন বহুল আলোচিত ও সমালোচিত প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। অবশেষে গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) তার পদত্যাগের খবর দিয়েছে গণমাধ্যমগুলো। অত্যন্ত সমালোচিত এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি করার অভিযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি থাকার তথ্যকে এর আগে তিনি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই তার বিরুদ্ধে নানা সময় অনিয়ম-দুর্নীতি ও বির্তক লেগেই ছিল। কিন্তু তারপরও তিনি দীর্ঘ দেড় দশক ধরে এমডি পদে বহাল তবিয়তে ছিলেন তিনি। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, তাকে অনুরোধ করে এই পদে রেখেছে সরকার।

    taqsem-a-khan

    ৫ হাজার কোটি টাকা লোপাট
    তাকসিম এ খানের সময়ে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি হয়েছে। এতে রাজধানীবাসীর পানি ও পয়ঃসেবার দাম বেড়েছে। বৈদেশিক সহায়তানির্ভর প্রকল্প বাস্তবায়নে এই সংস্থাটি প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্যপরিষদের নেতারা।

    তাদের মতে, পদ্মা (যশলদিয়া) পানি শোধনাগার প্রকল্পের সঞ্চালন লাইন নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে ৬০০ কোটি টাকা, দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগারের নিুমানের যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৬০০ কোটি টাকা, পানি ও পয়ঃবিলের ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ৬২১ কোটি টাকা।

    তারা বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বিতাড়িত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় বলে তিনি আইনের তোয়াক্কা না করে যা খুশি তাই করেছেন। অন্যায়ভাবে অনেককে চাকরিচ্যুত করেছেন। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দিলেও অনেককে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে দেননি। কয়েকদিন ধরে ঢাকা ওয়াসার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। জনরোষে পড়ার ভয়ে নিজ বাসায় না থেকে তিনি এখন হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে অনলাইনে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।

    এ প্রসঙ্গে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. গোলাম মোস্তফা বলেন, অতিষ্ঠ হয়ে ২০২৩ সালের ১৭ মে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রকৌশলী তাকসিমের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে চিঠি লিখেছিলাম। মন্ত্রণালয় তার তদন্ত না করে উপরন্তু চার দিনের মাথায় আমাকে সরিয়ে দেয়। দুর্নীতির টাকার জোরে তিনি ধরাকে সরাজ্ঞান করেছেন। পাশাপাশি তাকে রাজনৈতিকভাবে সহায়তা করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসায় প্রকৌশলী তাকসিমের সময়ে ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে; তা খুবই পরিষ্কার। পদ্মা (যশলদিয়া), দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্পে সঠিক তদন্ত করলে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। এছাড়া আরও যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলোও সরকার তদন্ত করতে পারে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একবার তদন্ত শুরু করে রহস্যজনক কারণে থেমে যায়। মন্ত্রণালয়কে তিনি নিজ হাতের পুতুলে পরিণত করেছেন।

    তিনি জানান, এখন পরিবর্তিত সময়; মন্ত্রণালয় বা দুদক চাইলে সঠিক তদন্ত করতে পারবে। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকারকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঢাকা ওয়াসা থেকে এই জগদ্দল পাথরকে না সরালে রাজধানীবাসীকে পানি ও পয়ঃসেবা পেতে বহুগুণ বেশি অর্থ গুনতে হবে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এই নগর সংস্থাটি আরও ধ্বংস হয়ে যাবে। এজন্য বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্টদের তার দুর্নীতির বিষয়গুলো নিখুঁতভাবে তদন্ত করে দেখার অনুরোধ জানাব। জনরোষের ভয়ে তিনি এখন বাসায় না থেকে পাঁচতারকা হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থান করছেন বলে জানতে পেরেছি।

    ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদ বিগত সময়ে ঢাকা ওয়াসায় সংঘটিত অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি হিসাব কষেছেন। তাদের হিসাব অনুযায়ী-প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দাশেরকান্দি পয়ঃশোধনাগার প্রকল্প নির্মাণে নিুমানের যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কমপক্ষে ৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন। এছাড়া এ প্রকল্পের নেটওয়ার্ক না করে মূল প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় সেখান থেকে কোনো সুফল মিলছে না। এতে সেখানে কোনো বাসা-বাড়ির বর্জ্য যেমন শোধন করা যাচ্ছে না, তেমনি কোনো রাজস্বও আদায় হচ্ছে না।

    শোধনাগারের প্ল্যান্ট চালু রাখতে হাতিরঝিলের ময়লা পানি সেখানে নিয়ে শোধন করা হচ্ছে। এতে ঢাকা ওয়াসার বছরে গচ্চা যাচ্ছে ৫১২ কোটি টাকা; ২০২৭ সালে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হলে বছরে ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৮২৫ কোটি টাকা। ২ বছর আগে প্রকল্প চালু হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সঞ্চালন লাইন (নেটওয়ার্ক) প্রকল্প প্রস্তাব করেনি। এই মুহূর্তে সঞ্চালন লাইনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও বাস্তবায়নে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। ততদিনে পয়ঃশোধনাগারের যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে পড়বে।

    একই চিত্র পদ্মা-যশলদিয়া পানি শোধনাগার প্রকল্পেও। মূল সঞ্চালন লাইনে নির্মাণে নিুমানের পানি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারে আত্মসাৎ হয়েছে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পে সরবরাহ লাইন তৈরি না করে প্রকল্প চালু করায় দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার পানি উৎপাদন হওয়ার কথা থাকলেও অর্ধেকেরও কম উৎপাদন হচ্ছে। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ঢাকা ওয়াসার গচ্চা গেছে ১৪২ কোটি টাকা। আর ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হওয়ায় চলতি অর্থবছর থেকে গচ্চা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের পদে পদে দুর্নীতি হয়েছে; ওয়ারেন্টি পিরিয়ডের মধ্যেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। ঢাকা ওয়াসার ফান্ডে টাকা থাকলেও বহস্যজনক কারণে এই প্রকল্পের সরবরাহ রাইন করা হচ্ছে না।

    ঐক্যপরিষদের নেতাদের হিসাব মতে, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছর থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সময়ে ঢাকা ওয়াসার ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা খোয়া গেছে। পানির দাম ও গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, বিলিং পদ্ধতি ডিজিটাইজেশন হওয়ার পরও সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্তদের চুরি, অবহেলা ও অদক্ষতার কারণে এই বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় থেকে সংস্থা বঞ্চিত হচ্ছে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে সংস্থার সিস্টেম লস ছিল ৩৪.৮২ শতাংশ এবং বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৮২ শতাংশ; অথচ ঢাকা ওয়াসার বর্তমান প্রশাসন দাবি করছে ঢাকা ওয়াসার সিস্টেম লস ২০ শতাংশ।

    তারা বলেন, সমবায় আইন অমান্য করে ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি থেকে ৬২১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে। এছাড়া সমিতির মালামাল বিক্রি করা হয়েছে। তার আনুমানিক মূল্যও প্রায় শতকোটি টাকা। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে সমবায় অধিদপ্তরের তদন্তে ৩৩২ কোটি ৫২ লাখ টাকা লোপাটের প্রতিবেদন এসেছে। এরপর বাকি টাকা লোপাট হয়েছে। প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের ছত্রছায়ায় দুর্নীতি হওয়ায় তাদের কারও বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

    তারা জানান, প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের ১৫ বছরে রাজধানীবাসীকে ন্যূনতম সেবা না দিয়ে অর্থ আদায়েরও নানা উদাহরণ রয়েছে। নগরীতে পয়ঃসেবা না থাকলেও বছরে এ খাতে নগরবাসীর কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার এমডির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২০২৪ সালে ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে ৭০ শতাংশ এবং ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে ৩০ শতাংশ পানি উৎপাদনের ঘোষণা ছিল। বাস্তবে তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। এখনো ঢাকা ওয়াসার মোটর পানির ৭৬ শতাংশ ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে। আর ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে নেওয়া হচ্ছে ২৪ শতাংশ।

    তারা আরও জানান, ঢাকা ওয়াসায় পদোন্নতিতে তার সময়ে জ্যেষ্ঠতা মানা হয়নি। অবৈধ অর্থের লেনদেন পাকাপোক্ত করতে সিনিয়রদের ডিঙিয়ে জুনিয়রদের পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। তার কাজে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের আর্থিকভাবে লাভবান করার পাশাপাশি বিদেশ ভ্রমণেরও সুযোগ করে দিয়েছেন। তার সময়ে অর্ধশত কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। লোপাট নির্বিঘ্ন করতে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন তারা।

    এ প্রসঙ্গে ঢাকা ওয়াসা কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী মো. মোজাম্মেল হক বলেন, প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের সময়ে ঢাকা ওয়াসায় ভয়াবহ অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তার একটি হিসাবও আমরা করেছি। সেটা স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার কাছে আগামীকাল জমা দেওয়া হবে।

    তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পানি ও পয়ঃবিলে টাকা থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি দুর্নীতি করেছে। এতে করে প্রকল্পগুলো রুগ্ণ হয়ে পড়েছে। যেখানে এখন শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ঢাকা ওয়াসাকে। বৈদেশিক সহায়তা নিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ঋণগ্রস্ত করে ফেলেছে সংস্থাকে। এই দুর্নীতিবাজ এমডিকে আমরা আর চাই না।

    তিনি জানান, জনরোষের ভয়ে প্রকৌশলী তাকসিম বাসা ছেড়ে হোটেল সোনারগাঁওয়ে অবস্থান করছে বলে জানতে পেরেছি। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাব, সে যেখানে থাকুক সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হোক। তিনি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয়ে অফিসে না এলেও দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে জুমে মিটিং করছে বলে শোনা গেছে। সব দুর্নীতিবাজকে আইনের আওতায় আনতে হবে।

    এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ইয়াজদানী বলেন, প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের অন্যায় নির্দেশ না মানায় সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে বরখাস্ত করা হয়। উচ্চ আদালত ২০২৩ সালের ১০ জুন তা বাতিল করলেও তাকে তিনি কাজে যোগদান করতে দেননি।

    তিনি বলেন, প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের অনিয়ম ও দুর্নীতির শত শত প্রমাণ রয়েছে। বর্তমান সরকারকে অনুরোধ জানাব সেসব অনুসন্ধান করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে। আর তিনি যাতে কোনোভাবে পালিয়ে যেতে না পারেন সেদিকেও সংশ্লিষ্টদের খেয়াল রাখার অনুরোধ জানাব। তিনি আমেরিকার পাসপোর্টধারী, তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে থাকেন, যে কোনো সময় তিনি পালিয়েও যেতে পারেন।

    যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি
    যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় হাজার কোটি টাকা মূল্যের ১৪টি বাড়ি আছে বিতর্কিত তাকসিম এ খানের। গত বছরের জানুয়ারিতে একটি জাতীয় দৈনিকে এমন খবর প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এর এক দিন পর সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের বিরুদ্ধে উঠা অনিয়ম-দুর্নীতি ও যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির বিষয়ে কথা বলেন তাকসিম এ খান।

    ওই সময় তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে তার ১৪টি বাড়ির যে খবর পত্রিকায় বেরিয়েছে, সেটা সর্বৈব মিথ্যা। যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে, তার মধ্যে পাঁচটি বাড়িতে আমার পরিবার সেখানে বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।

    দুদকের তদন্ত নিয়ে তাকসিম এ খান বলেন, ঢাকা ওয়াসার ভালো কাজ দেখে যাদের ক্ষতি হয়, তারাই এমন অভিযোগ করেন। আমি জীবনে হারাম পয়সা খাইনি। খাব না।

    গত বছর তাকসিমসহ ওয়াসার ঊর্ধ্বতনদের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক। এছাড়া গত ২৫ আগস্ট আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটও (বিএফআইইউ) তাকসিম এ খানের সব ধরনের ব্যাংক হিসাব তলব করে চিঠি দেয়। এর মধ্যেই গত সোমবার ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থ পাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

    এই প্রতিবেদন প্রকাশের পরই ঢাকা ওয়াসার এই এমডির বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। তাকসিম যুক্তরাষ্ট্রে দুর্নীতি করে বাড়ি করেছেন কিনা, সে বিষয়ে অনুসন্ধান করে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা ওয়াসার এমডি বলেন, ‘আমার স্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি চাকরি করেন। ১৯৯৫ সাল থেকে তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। বাড়ি ও অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে বলে যে খবর গণমাধ্যমে এসেছে, সেটা স্টান্টবাজি। আমার স্ত্রী-সন্তান সেখানে সুপ্রতিষ্ঠিত, তাই সেখানে একটি বাড়ি কেনায় খুব অসুবিধার কিছু নেই। আমার স্ত্রীর নামে ওই একটা বাড়ি আছে। সেটাকে বাড়ি বলা যাবে না, এটা একটা অ্যাপার্টমেন্ট।… বিভিন্ন সময় আমাকে নিয়ে এমন নানান রিপোর্ট এসেছে কিন্তু এগুলো সব মিথ্যা, তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। কাজেই এগুলো পুরোটাই অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যারা ওয়াসা থেকে অনৈতিক সুবিধা পায়নি বা পাচ্ছে না, তারাই মূলত এসব করিয়ে থাকে।’

    দুর্নীতি ও অনিয়ম করে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি সেখান (যুক্তরাষ্ট্র) থেকেই ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। এমন নয় যে, এখানে চাকরি করে আমার সম্পদ ওখানে গড়েছি। আমার স্ত্রী সেখানে সরকারি চাকরি করেন। আমার সন্তানও সেখানে খুব ভালোমানের চাকরি করে। আমি যে ইনকাম করি, তা থেকে ওদের কিছুই দিতে হয় না। তারা ওখানে অনেক ভালো আছে; যে কারণে আমার স্ত্রীর নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট থাকা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে রিপোর্টে যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তা পুরোপুরি অসত্য। এর মধ্যে ৫টি বাসার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেগুলোতে আমার পরিবার বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছে। কিন্তু মিথ্যা একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে দেওয়া হলো। আমার ছেলেও একসময় সেখানে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিল, কিন্তু তা অনেক আগেই ছেড়ে দিয়েছে। সেখানে অভিভাবক হিসেবে আমার নাম আছে। এই নামগুলো ইন্টারনেট থেকে নিয়ে তার বিরুদ্ধে এ প্রতিবেদন করা হয়েছে।’

    ওই প্রতিবেদনে বাড়ির যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে, সেটি নিয়েও কথা বলেন তাকসিম এ খান। তিনি বলেন, ‘একটা বিল্ডিংয়ে ১০-১৫টা অ্যাপার্টমেন্ট থাকে। সেই অ্যাপার্টমেন্টগুলার বর্তমান বাজার দর কত সেটাও আপনারা ওয়েবসাইট থেকে পাবেন। ১০২টা বেডরুমওয়ালা কোনো বাসা হয় না, আবার ১০২টা বাথরুমওয়ালা কোনো বাসা হয় না। যেগুলো হয় সেগুলা প্রেসেডিয়েনশিয়াল… যেগুলো আমাদের আলোচনার মধ্যেও নাই। সাধারণত আমেরিকায় এমন কোনো বাসা থাকে না। অতএব এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত, কাজেই এটার কোনো ভিত্তি নেই।’ সূত্র : যুগান্তর

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় 14 ১৪, ৫ অপরাধ-দুর্নীতি এ করে কোটি খান টাকা তাকসিম প্রভা বাড়ি, বাড়ির মালিক যুক্তরাষ্ট্রে লুট লোপাট হাজার
    Related Posts
    ঈদুল আজহা প্রতারণা

    ঈদুল আজহার বাজারে প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে যা জানা দরকার

    June 5, 2025
    ঈদুল আজহা বর্জ্য সমস্যা

    ঈদুল আজহার সময় পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা কেন বারবার আলোচনায় আসে

    June 5, 2025
    ২২ কিলোমিটার যানজট

    অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ২২ কিমি যানজট

    June 5, 2025
    সর্বশেষ খবর
    রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ

    ‘প্রভাষক’ পদে ৫ জনকে নিয়োগ দেবে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ

    ঈদুল আজহা প্রতারণা

    ঈদুল আজহার বাজারে প্রতারণা থেকে রক্ষা পেতে যা জানা দরকার

    ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

    ঢাকাসহ দেশের ১৬ নদীবন্দরে দুপুরের মধ্যে ঝড়ের আভাস, ১ নম্বর সতর্ক সংকেত

    ঈদুল আজহা বর্জ্য সমস্যা

    ঈদুল আজহার সময় পশুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা কেন বারবার আলোচনায় আসে

    ঈদুল আজহা নিরাপত্তা

    ঈদুল আজহার সময় পশুর জবাইয়ের আগে ও পরে নিরাপত্তা বিধি কতটা মানা হয়

    ঈদুল আজহার নামাজে অংশগ্রহণ

    ঈদুল আজহার নামাজে মানুষের অংশগ্রহণ কেন প্রতি বছর রেকর্ড গড়ে?

    ২২ কিলোমিটার যানজট

    অতিরিক্ত গাড়ির চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ২২ কিমি যানজট

    ঈদুল আজহা গরুর নাম

    ঈদুল আজহার গরুর অদ্ভুত নামকরণ: কেন হয় ভাইরাল?

    ঈদুল আজহা চামড়া বাজার

    ঈদুল আজহার চামড়া নিয়ে চক্রের সক্রিয়তা কেন উদ্বেগজনক?

    পর্তুগাল

    উয়েফা নেশন্স লিগে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.