স্পোর্টস ডেস্ক : আগের ম্যাচেও পাঁচে ব্যাটিং করেছিলেন পারভেজ হোসেন ইমন। কিন্তু তামিম ইকবালের বদলে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেন তিনি। খেলেন ১৫১ রানের দারুণ ইনিংস। আরেক ওপেনার শাহাদাত দীপু করেছেন ১১৯ রান। তিন নম্বরে নেমে তামিম ইকবাল ১৬ রানে ফিরলেও ৩৮০ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। জবাবে ৯ উইকেট হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন তুলতে পেরেছে ২১৫ রান। ফলে ১৬৫ রানের বিশাল জয় পেয়েছে তামিমের দল।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে এদিন টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামে প্রাইম। এদিন রাস্তায় জ্যামে আটকে থাকায় ওপেনিংয়ে নামতে পারেননি অধিনায়ক তামিম। তার বদলে এদিন দীপুর সঙ্গী হয়ে মাঠে নামেন ইমন। এদিন শুরু থেকেই ওভার প্রতি ছয়ের উপরে রান তুলতে থাকেন দুই ওপেনার। ফলে ১৮ ওভারেই শতরান পূর্ণ করে দলটি।
এরপর দুজনই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিজেদের ইনিংস বড় করতে থাকেন। তাদের উদ্বোধনি জুটিতেই ২৪৬ রানের সংগ্রহ পায় প্রাইম। এ সময় ৯৫ বলেই নিজের সেঞ্চুরি তুলেনেন দীপু। আরেক ওপেনার ইমন সেঞ্চুরি করেন ১০৪ বলে। তাদের এই জুটি ভাঙেন আবু জায়েদ রাহি। এই পেসারের বলে ক্যাচ তুলে দিলে ১১৯ রানে থামতে হয় দীপুকে।
এরপর তিন নম্বরে নামা তামিমকে নিয়ে রান তুলতে থাকেন ইমন। তবে মাত্র ১৬ রান করেই সালাউদ্দিন শাকিলের শিকার হন তামিম। মিড অফে তার ক্যাচ তালুবন্দি করেন রাহি। উইকেটের অন্যপাশে থিতু হয়ে নিজের দেড়শ রান পূর্ণ করেন ইমন। ব্যক্তিগত ১৫১ রানে তাকেও ফেরান রাহি। ইনিংস জুড়ে ৮ ছক্কা ও ৯ চারের মার ছিলো তার।
একই ওভারে মোহাম্মদ মিথুনকেও ফেরান রাহি। তবে সবশেষ মেহেদি হাসানের ১৭ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮০ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রাইম। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট পেয়েছেন রাহি। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেছিল ব্রাদার্স। উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান তোলে দলটি।
ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ৩১ রানে ফিরলেও আব্দুল মাজিদ তুলে নেন নিজের হাফসেঞ্চুরি। এরপর রহমতুল্লাহ আলি ৩৭ ও শেষ দিকে শাকিল হোসেন ২৩ রান তুললে নির্ধারিত ওভারে ২১৫ রানের বেশি তুলতে পারেনি ব্রাদার্স। প্রাইমের হয়ে নাজমুল হাসান অপু ও সানজামুল ইসলাম নিয়েছেন তিনটি করে উইকেট। ফলে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকল দলটির।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।