জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মধুপুর গড় অঞ্চলে মাটি, ভূ-প্রকৃতি, আবহাওয়া ও মাটির উর্বরতা শক্তি ভালো থাকার শুরু হয়েছে কফি চাষ। কাজু বাদাম এবং কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে চাষিরা কফি চাষ শুরু করেছেন এ গড় অঞ্চলে।
মধুপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, কাজু বাদাম এবং কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে কৃষকদের মাধ্যমে মধুপুরে ১১ হেক্টর জমিতে কফি চাষ করা হয়েছে।
মধুপুর সদরের কফি চাষি সানোয়ার হোসেন বলেন, মধুপুরে আমি প্রথম কফি চাষ শুরু করি। চাকরি ছেড়ে ৫ বছর আগে শখের বশে কফি চাষ শুরু করেছিলাম। রাঙ্গামটি জেলার রায়খালী থেকে ২০০ চারা এনে প্রায় ২ বিঘা জমিতে বাগান করেছি। বর্তমানে আমার বাগানে রয়েছে ৫০০ থেকে ৬০০ পরিপক্ক গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় কফি ফল ঝুলছে।
তিনি আরও বলেন, ফলন ভালো ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হেক্টর প্রতি ৭৫০ থেকে ১ হাজার কেজি এবং গাছ প্রতি বছরে ১ কেজি কফি পাওয়া সম্ভব। স্থানীয়ভাবে কফির দাম নির্ধারিত না থাকলেও গ্রিন কফি দেড় হাজার টাকা ও প্রসেস করা কফি আড়াই হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল জানান, মধুপুরের মাটির অম্লত্ব ও উর্বরতা শক্তি কফি চাষের জন্য উপযোগী। বৃষ্টিপাত মাটির গঠন বিন্যাস মিলে গড় এলাকার লাল মাটিতে কফি চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। কাজু বাদাম ও কফি গবেষণা উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে কফি চাষ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয়ভাবে কফি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাণিজ্যিক ব্যবস্থা গড়ে না উঠলেও ধনবাড়ী হর্টিকালচারের মাধ্যমে প্রসেসিং চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।