দীর্ঘদিন প্রেমের পর বিয়ে; তারপরও শ্বশুরবাড়িতে জায়গা হচ্ছিল না তরুণীর। অনেক জোরাজুরি ও অনুরোধের পরও কাজ না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিয়ের কাগজপত্র, ছবি ও ভিডিওসহ বিভিন্ন প্রমাণাদি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন ওই তরুণী। কিন্তু, মীমাংসার বদলে তাকে সইতে হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। গাছের সঙ্গে বেঁধে ২৭ বছর বয়সী ওই তরুণীকে নির্যাতন করেছে ছেলের বাড়ির লোকজন।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল এলাকায় বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ঘটেছে এ ঘটনা। ইতোমধ্যে ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ফলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
এদিকে নির্যাতনের শিকার তরুণী বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।
স্থানীয়রা জানায়, ওই তরুণীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী হতেয়া রাজাবাড়ি ইউনিয়নের বাজাইল গ্রামের আব্দুর রশিদের (২৪) প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। পরে তারা আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের পর আব্দুর রশিদ তার আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে তরুণীকে নিয়ে রাতও কাটান। পরে স্বামীর বাড়িতে উঠতে চাইলে রশিদ ও তার পরিবার সম্পর্ক অস্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে রশিদের বাড়িতে গেলে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হয় তাকে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তরুণীকে উদ্ধার করে সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ভুক্তভোগী তরুণী বলেন, ‘আমার কাছে কোর্ট ম্যারেজের কাগজপত্র, ভিডিও, ছবিসহ সব প্রমাণ আছে। ওরা আমাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন করে সবকিছু কেড়ে নিয়েছে।’
অভিযুক্ত আব্দুর রশিদ বলেন, ওই নারীর সঙ্গে মোবাইলে আমার সম্পর্ক হয়। পরে বেড়াতে গেলে সে ও তার লোকজন আমাকে আটকিয়ে মোবাইল ফোন এবং টাকাপয়সা কেড়ে নেয়। একপর্যায়ে উকিল ডেকে জোর করে কাগজে সই নেয়। সে আমার বাড়িতে এসে ফাঁসি দিতে চেয়েছিল। এ কারণে তাকে বেঁধে রাখা হয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম ভূঞা বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।