জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় চুরির পর পুলিশের অভিযানে উদ্ধার হওয়া বাছুরসহ গাভি ফিরিয়ে দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাতে গাভির মালিক ফজলু শেখের ভাগনে উজ্জ্বল সিকদার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের ফজলু শেখের বাড়ির গোয়াল ঘরের তালা ভেঙে দুটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে ফজলু শেখ মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
তার মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপজেলার কদিমধল্যা এলাকা থেকে রাতেই চুরি হওয়া দুটি গরুসহ চোরকে গ্রেপ্তার করে। এসময় চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক জব্দ করা হয়।
এরপর গাভী ও বাছুর ফেরত চাইতে মালিক ফজলু ও তার স্বজনরা মির্জাপুর থানায় গিয়ে ওই উপ-পরিদর্শকের সঙ্গে দেখা করেন। তখন তিনি দুটি গরু ফেরত দিতে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরে কয়েকজন বিএনপি নেতার মধ্যস্ততায় ১০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিলেও গরু ফেরত দিতে রাজি হননি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মির্জাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী হাসান বলেন, আদালতের মাধ্যমে গাভি ফেরত নিতে মালিককে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ঘুষ দাবি করিনি। মামলার পর গরু চোরকে কোর্টে চালান দিয়েছি।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া গরু চোরকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেল হাজাতে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া গরু মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। একজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। এটা মিথ্যা ও বানোয়াট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



