জুমবাংলা ডেস্ক : মাত্র চারদিন আগে বিয়ে। ঈদের পরের দিন পারিবারিকভাবে পছন্দের মেয়েকে বিয়ে করে সবেমাত্র সংসার পেতেছিলেন। হাত থেকে তখনো মুছেনি মেহেদীর আলপনা। বিয়ের চতুর্থ দিনেই সেই তানজির নিহত হলেন বাসের ধাক্কায়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী তানজির আহমেদ। তিনি খুলনা সদরের বয়রা এলাকার রায়ের মহল এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকেলে খুলনা সদরের সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বাগেরহাটগামী এক বাসের ধাক্কায় এই ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় তাকে দাফন করা হয়।
এ সময়ে বাস কর্তৃপক্ষ নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
জানা যায়, ঘটনার দিন ঢাকা থেকে তানজির টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস বাসযোগে খুলনায় আসার পর সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামার সময়ে পেছন থেকে ঐ বাস সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান।
এ বিষয়ে নিহত শিক্ষার্থী তানজিরের ভাগনে তৈয়বুর রহমান বলেন, ঈদের মাত্র একদিন পরে মামার বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম। জানতাম না কদিন বাদে এই ঘটনা ঘটবে। মামা অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। বেপরোয়া কোনো বাস যেন কারো ভবিষ্যৎকে এভাবে নষ্ট করে না দেয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি।
তানজিরের নববিবাহিতা স্ত্রী রূপা বলেন, জানি না আল্লাহ ভাগ্যে কি রেখেছেন। এমন মৃত্যু কখনো কল্পনা করতে পারিনি। সবাই ওর জন্য দোয়া করবেন।
এসিসিই বিভাগের সভাপতি মো. লাউশান হাবীব বলেন, আমার যোগদানের পর থেকেই তানজিরের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল৷ সে অত্যন্ত মেধাবী, বিনয়ী ও ভালো মনের অধিকারী ছিলেন। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।