অভিনেত্রী তানজিন তিশা। বুধবার (১৫ নভেম্বর) মধ্যরাতে হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকাল নাগাদ খবরটা চাউর হতেই জানা যায়, মধ্যরাতে ‘প্রেমঘটিত’ কারণে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
যদিও বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, গত রাতে আমার ফুড পয়জনিং-এর পরে কিছু ব্যাপারে আমার খারাপ অবস্থা ছিলো তাই আমি একটা স্লিপিং পিল খাই এবং তার সাইডইফেক্ট হিসেবে আমার বমি হয় এবং হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। আমি এখন সম্পূর্ন সুস্থ।
তবে সুস্থ হলেও কাল রাত থেকে ভালোই ভুগতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে। তার বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, শুরুতে এই অভিনেত্রীকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখান থেকে রাতেই নেওয়া হয় রাজধানীর পান্থপথে স্কয়ার হাসপাতালে।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে সেই হাসপাতালে গিয়ে প্রথমে জানা যায়, তানজিন তিশাকে রাখা হয়েছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)।
পরে জানা যায়, সিসিইউ নয়, তাকে ছয়তলার হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে। তবে ভিন্ন নামে। হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান, তানজিন তিশাকে ‘নাহার’ নামে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে আড়াল করতেই এই চেষ্টা।
প্রসঙ্গত তানজিন তিশার ফেসবুক আইডির পুরো নাম দেওয়া তানজিন নাহার তিশা।
এ দিকে হাসপাতালের বেশ কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালেই তানজিন তিশাকে দেখতে একদফা হাসপাতালে গিয়েছিলেন অভিনেতা মুশফিক আর ফারহান। সেখানে গেলে তিশার বোনের সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। পরে ফারহান চলে যান।
ঘনিষ্ঠ আরও বেশ কয়েকটি সূত্র থেকে জানা যায়, দুপুরের আগে তিশাকে ১৩ তলায় কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। দুপুরের পরপরই হাসপাতাল থেকে বাসায় যান। বাসায় ফিরেই ফেসবুকে পুরো ঘটনা জানিয়ে পোস্ট দেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে তিশা সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন তার কাছের বেশ কয়েকজন নির্মাতা। খুব দ্রুতই কাজেও ফেরার ইচ্ছা আছে তার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।