ধর্ম ডেস্ক : চলুন ইসলামী শরিয়তে তারাবি নামাজ সংক্রান্ত বিধি বিধানগুলো জেনে নেই। জেনে নেই তারাবি নামাজ আদায়ের নিয়ম কানুন।
তারাবি শব্দটি বহুবচন। এর একবচন হলো তারবিহ। আভিধানিক অর্থ বিশ্রাম, স্বস্তি, শান্তি ও প্রশান্তি। পবিত্র রমজানে এশার নামাজের চার রাকাত ফরজ ও দুই রাকাত সুন্নতের পর, বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয়, একে ‘তারাবি’ নামাজ বলা হয়।
এক নজরে
* এশার চার রাকাত সুন্নত * এশার চার রাকাত ফরজ * এশার দুই রাকাত সুন্নাত * দুই রাকাত দুই রাকাত করে তারাবির সালাত * এশার তিন রাকাত বেতের।
তারাবি নামাজের ফজিলত ও মর্যাদা সম্পর্কে বুখারি ও মুসলিম শরীফে নবী করীম (সা.) ইরশাদ করেন,যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে পুণ্য লাভের আশায় রমজানের রাতে তারাবি নামাজ আদায় করেন, তাঁর অতীতকৃত পাপগুলো ক্ষমা করা হয়।
নিয়ত
নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
অর্থঃ আমি ক্বিবলামুখি হয়ে দু রাকাআত তারাবিহ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাযের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার।
তারাবির সালাত দুই রাকআত দুই রাকআত করে যে কোনো সংখ্যক রাকআত পড়া হয়। তারাবির নামাজের রাকআত নির্দিষ্ট করা হয়নি। হানাফি, শাফিয়ি ও হাম্বলি ফিকহের অনুসারীগণ ২০ রাকআত, মালিকি ফিকহের অনুসারীগণ ৩৬ রাকআত এবং আহলে হাদীসরা ৮ রাকআত তারাবি পড়েন।
তারাবী নামাজে প্রত্যেক দুই রাকাত পর সালাম ফিরানোর পর ইসতেগফার পড়তে হয়, দুরুদ পড়তে হয়, আল্লাহর স্মরণে জিকির করতে হয়। আর চার রাকাত হলেও কুরআন হাদিসের দোয়াগুলো পড়া হয়। দোয়াগুলো পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে পড়া হয়ে থাকে তাই পড়া হয়।
দোয়া
সুবহানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানাযিল ইয্যাতি, ওয়াল আযমাতি, ওয়াল হাইবাতি, ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়াই, ওয়াল যাবারুত। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লাইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা। সুব্বুহুন কুদ্দুছুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালাইকাতি ওয়ার রূহ।
কিন্তু তারাবির যে দোয়াটি বর্তমানে জারি আছে, এই দোয়া কোরআন হাদিস সম্বলিত নয়। জানা যায়, এটি কোনো এক বুজুর্গ ব্যক্তি লিখে প্রচলন করেন। যার অর্থও ভালো বিধায় পড়া হয়ে থাকে। তাছাড়া, তারাবিহ নামাজের চার রাকাত পরপর মোনাজাত করা হয়ে থাকে।
মোনাজাত
আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান্নারী, ইয়া খালিকাল জান্নাতা ওয়ান্নারী, বিরহতিকা ইয়া আজিজু, ইয়া গাফফারু, ইয়া কারীমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহীমু, ইয়া জাব্বারু, ইয়া খালিকু, ইয়া বার্র। আল্লাহুম্মা আযিরনা মিনান্নার; ইয়া মুযিরু, ইয়া মুযিরু, ইয়া মুযির। বিরহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমিন।
তারাবির নামায নারী-পুরুষ সকলের জন্য সুন্নতে মুয়াক্কাদা। আমাদের দেশে তারাবীহর নামাজের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি খতম তারাবীহ আর অন্যটি সূরা তারাবীহ। খতম তারাবীহর ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ কুরআন পাঠ করা হয়। খতম তারাবীহর জন্য কুরআনের হাফিযগণ ইমামতি করেন। সূরা তারাবীহর জন্য যেকোন সূরা বা আয়াত পাঠের মাধ্যমে সূরা তারাবীহ আদায় করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।