জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌর শহরের মসজিদুল আমানের খতিব ও ইমামের দায়িত্ব পালন করেছেন ৬৪ বছরের বৃদ্ধ শামসুল আলম ভূঁইয়া ওরফে হালিম হুজুর। পবিত্র রমজান মাসে এই মসজিদে তারাবি পড়ানোর মধ্য দিয়ে টানা ৪১ বছর তারাবির ইমামতি করার সৌভাগ্য অর্জন করছেন তিনি।
আর তার ছেলে ২৪ বছর বয়সী মাহমুদুল আলম ভূঁইয়া খতিব ও ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন গৌরীপুরের বোকাইনগর ইউনিয়নের উত্তর গড়পাড়া জামে মসজিদে। তিনিও তারাবির ইমামতি করছেন ১২ বছর ধরে।
পিতা-পুত্র দুজনেই মসজিদের ইমামতি করার পাশাপাশি রমজান মাসে তারাবির ইমামতির দায়িত্ব পালন করতে পরে নিজেদের অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছেন। পিতা-পুত্রের ভাষ্য আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করাই তাদের লক্ষ।
জানা গেছে, ১৯৮২ সালে গৌরীপুর ছদরুদ্দিন (র.) হাফিজিয়া মাদরাসা অধ্যয়নের সময় পৌর শহরের বড় মসজিদে তারাবির নামাজে ইমামতি করেন হালিম হুজুর। পরের বছর থেকে তিনি তারাবির ইমামতি করেন মসজিদুল আমানে। এরপর থেকে টানা ৪১ বছর এই মসজিদে তারাবির ইমামতি করছেন।
২০১০ সালে গৌরীপুর পৌর শহরের মাদরাসাতুল মদিনা থেকে হেফজ শেষ করেন মাহমুদুল আলম ভূঁইয়া। এরপর ২০১১ সালে রমজান মাসে মসজিদুল আমানে বাবার সাথে তারাবির নামাজে ইমামিত করেন তিনি। এরপর প্রতি রমজান মাসে ভিন্ন মসজিদে তারাবির ইমামতি করেছেন মাহমুদুল। সর্বশেষ চার বছর ধরে তিনি তারাবির ইমামতি করছেন গড়পাড়া জামে মসজিদে।
মাহমুদুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার বাবা এই বৃদ্ধ বয়সে তারাবির ইমামতি করছেন এটা এটা আল্লাহপাকের অশেষ নিয়ামত। বাবার অনুপ্রেরণাতেইআমি হেফজ সম্পন্œ করে নিজেও তারাবির ইমামতি করছি ১২ বছর ধরে। এখন গ্রামে একটি মাদরাসা করার ইচ্ছা আছে।
মাধুরীকে দেখতে পারতেন না, হিংসায় যে কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন শ্রীদেবী
শামসুল আলম ভূঁইয়া ওরফে হালিম হুজুর বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: ‘যে ব্যক্তি ঈমানের সহিত সওয়াবের উদ্দেশ্যে রমজান মাসে তারাবির নামাজ পড়বে, তার অতীতের সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আমি বৃদ্ধ বয়সেও মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি তারাবির ইমামতি করতে পারছি এরজন্য আল্লহ পাকের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি।
সূত্র : বার্তা২৪
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।