তারাবীহ নামাজ: সুন্নত ও গুরুত্ব
অনেকে শুধু এশার নামাজ পড়াকে যথেষ্ট মনে করেন। তবে তারাবীহ না পড়লে কোনো সমস্যা নেই—এই ধারণা কতটা সঠিক?
Advertisement
Table of Contents
মূলত, তারাবীহ নামাজ সুন্নতে মুআক্কাদা, যা রাসুল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরাম নিয়মিত আদায় করেছেন। এটি এমন একটি সুন্নত, যা উজর ছাড়া বাদ দিলে গোনাহ হবে। দীর্ঘদিন এটি ত্যাগ করলে কবীরা গোনাহের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। (রদ্দুল মুহতার ২/৪৯৫)
তারাবীহ নামাজের জামাত ও নিয়ম
- তারাবীহ নামাজ জামাতে পড়া সুন্নতে মুয়াক্কাদায়ে কিফায়া। অর্থাৎ, এলাকার কিছু মানুষ জামাতে আদায় করলে অন্যদের ওপর ফরজ থাকবে না।
- যদি কেউ পরে যোগ দেন এবং কিছু রাকাত বাকি থাকে, তবে প্রথমে ইমামের সাথে বিতর পড়ে নিবেন, এরপর অবশিষ্ট তারাবীহ নামাজ আদায় করবেন।
তারাবীহ নামাজের ইমাম ও নেতৃত্ব
- অনেক জায়গায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলেকে ইমাম বানানো হয়, যা ঠিক নয়।
- ইমাম বালেগ (প্রাপ্তবয়স্ক) হতে হবে এবং তার কাছে কুরআনের আয়াতের অর্থ ও সারমর্ম জানা থাকলে ভালো হয়।
তারাবীহ নামাজের নামকরণ
সাহাবায়ে কেরাম যখন থেকে তারাবীহ নামাজ পড়া শুরু করেন, তখন তারা প্রতি চার রাকাত পর দুই সালামের মাধ্যমে বিরতি নিতেন। এই বিশ্রামের কারণে নামাজটির নাম হয়েছে তারাবীহ নামাজ। (ফতহুল বারী)
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।