সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘ দেড় যুগের নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে অবশেষে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হিথ্রো বিমানবন্দরে যান।
সব ঠিক থাকলে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার আগেই তিনি ঢাকায় অবতরণ করবেন। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছেন স্ত্রী-কন্যাসহ আরও পাঁচজন।
সূত্র জানায়, এই ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসে তারেক রহমানের পাশাপাশি আরও পাঁচজন সফরসঙ্গীর টিকিট কনফার্ম রয়েছে। তাদের মধ্যে আছেন তারেকের স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা জারনাজ রহমান।
এছাড়া তারেক রহমানের মিডিয়া টিমের প্রধান আবু আবদুল্লাহ সালেহ, পারসোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট আব্দুর রহমান সানি ও তাবাসসুম ফারহানা নামে আরেকজন আছেন।
তারেক রহমানের এই স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। দীর্ঘ যাত্রায় সিলেটে যাত্রাবিরতির পর আগামীকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে তাকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা রয়েছে। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন।
এদিকে বুধবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে করে তারেক রহমানের তিন দিনের কর্মসূচির কথা জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, আগামীকাল দুপুরে বিমানবন্দরে নামার পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তারেক রহমানকে স্বাগত জানাবেন। এরপর তিনি জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে তথা ৩০০ ফিট রাস্তায় সংবর্ধনাস্থলে যাবেন। সেখানে অপেক্ষায় থাকা নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে বক্তব্য দেবেন তিনি। এরপর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। সেখান থেকে বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় হয়ে গুলশান–২ নম্বরে বাসভবনে চলে আসবেন। সেদিন আর অন্য কোনো অনুষ্ঠান হবে না।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, পরদিন ২৬ ডিসেম্বর, শুক্রবার জুমার নামাজের পর তারেক রহমান বাসভবন থেকে প্রথমে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। সেখান থেকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর ২৭ ডিসেম্বর, শনিবারও দুটি কর্মসূচি রয়েছে। ওই দিন জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ করবেন তিনি। এ জন্য তারেক রহমান সশরীর রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন কি না, সেটা পরে জানানো হবে। ওই দিনই ভোটার হতে সব কাজ করবেন। এরপর শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাবেন।
শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত শেষে সেখান থেকে রাজধানীর শ্যামলীতে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের দেখতে যাবেন তারেক রহমান। এরপর আরেকটি অনুষ্ঠান হবে, সেটার বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানান সালাহউদ্দিন আহমদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



