জুমবাংলা ডেস্ক : পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারতের ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণার পরপরই উত্তপ্ত পাইকারি বাজার। রাতেই কেজিতে বেড়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকা। এই বাড়তি দামে দিশেহারা ক্রেতা ও খুচরা ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপ চেয়েছে তারা।
মধ্যরাতের রাজধানীর কারওয়ানবাজার। পেঁয়াজ কিনতে এসে বাড়তি দাম শুনে বিপাকে পড়েছেন আশিষ দেবনাথ। একই অবস্থা বুয়েট শিক্ষার্থী তাহসিনেরও। মেসের জন্য বাজার করতে এসে দামের কারণে পেঁয়াজ কিনেছেন দরকারের চেয়ে কম পরিমাণ।
একই অবস্থা রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা খুচরা ব্যবসায়ীদেরও। পাইকারি বাজারে দিনে ভারতীয় যে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা, ৪০ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার রাতেই তা দাঁড়ায় ৬৫তে। আর দেশি পেঁয়াজের পাইকারি যেখানে ছিল ৬৫ থেকে ৭০, রাতে তা বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শুল্ক বাড়ানোর ঘোষণার পরই এর প্রভাব পড়েছে আমদানির বাজারে।
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন। এর মধ্য ভারত থেকে আমদানি হয় ৭ থেকে ৮ লাখ টন। এ অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সরকারি পদক্ষেপ চেয়েছেন ক্রেতারা।
উল্লেখ্য, স্থানীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। শনিবার (১৯ আগস্ট) দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত জানায়। এ সিদ্ধান্ত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
এ নিয়ে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের ভোক্তা বিষয়ক সম্পাদক রোহিত কুমার সিং বলেন, অভ্যন্তরীণ সরবরাহ বাড়াতে এবং রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতেই বাড়তি এ শুল্ক আরোপের পথে হেঁটেছে মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে পেঁয়াজের দামেও লাগাম টেনে ধরা যাবে।
ভারতে শনিবার প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৩০ দশমিক ৭২ রুপিতে বিক্রি হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় ২০.৭৫ শতাংশ বেশি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, এই বাড়তি দামের মধ্যেই রেকর্ড পেঁয়াজ রপ্তানি করেছে বাংলাদেশের প্রতিবেশি ভারত। এপ্রিল-জুনে রপ্তানি হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মেট্রিক টন।
পেঁয়াজ উৎপাদনকারী দেশ ভারত থেকে বাংলাদেশ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, মালয়েশিয়া, শ্রীলঙ্কা পেঁয়াজ আমদানি করে থাকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।