বিএনপির অতীত সময়ে যেরকম সাংবাদিকদের গুম, নির্যাতন ও দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য হতে হয়নি- তেমনি ভবিষ্যতেও হবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) সকালে সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশ করা হয়।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদ বা সংবাদ মাধ্যমের ওপর দমন-পীড়নের বিষয়গুলো হবে না।
তিনি বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত পত্রপত্রিকা খুলুন। আমি কারও নাম উল্লেখ করবো না, কোনো পত্রিকার কথা উল্লেখ করবো না। শুধু খুলে দেখুন কিভাবে অনেক খবর ছাপা হয়েছিল। যার সত্যতা কিন্তু ছিল না, অপপ্রচার ছিল। কিন্তু অপপ্রচারটা সংবাদ হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু স্বৈরাচারের সময়ে অনেক সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং পরবর্তীতে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বাধ্যও হয়েছেন। ইভেন, এখনো অনেকে প্রবাস জীবনে আছেন, এরকম বহু সাংবাদিক।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরও বলেন, স্বৈরাচারের সময় বহু সাংবাদিককে বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে বিভিন্ন রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন-ধমক দেওয়া হতো। বিএনপির সময় এগুলো করা হয়নি, কারণ তখন সংবাদপত্রে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে তৎকালীন বিএনপি সরকার সম্পর্কে, আমার সম্পর্কে যে খবরগুলো প্রকাশিত হয়েছে, যদি ওইরকম হতো তাহলে কিন্তু ওরকম খবর প্রকাশিত হতো না।
তিনি বলেন, বিএনপির সময় যদি অত্যাচার- নির্যাতন থাকতো তাহলে স্বাভাবিকভাবে খবরগুলো প্রকাশিত হতো না। যা হয়নি বিগত সরকারের সময় স্বৈরাচার সরকারের সময়। কাজেই আপনাকে আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি, বিএনপির অতীত সরকারের সময় যেরকম সাংবাদিকদের গুম করা হয়নি। সাংবাদিকদেরকে নির্যাতন করা হয়নি। সাংবাদিকদেরকে দেশ ছেড়ে যেতে হয়নি, বাধ্য হতে হয়নি। ইনশআল্লাহ ভবিষ্যতেও হবে না।
সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধ করে- এ ধরনের আইনগুলো বাতিলের বিষয়ে প্রশ্নে তারেক রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা সকলে মিলে বসবো, আলোচনা করব। আপনাদের মত সাংবাদিকসহ যারা আছেন, তাদের সাথে আলোচনা করব। আলোচনা করে সেগুলোকে আমরা এরকম কালো আইন যা যা আছে, আমরা আস্তে আস্তে ঠিক করব। তবে এখানে বোধহয় একটি বিষয় আবার আমাকে উল্লেখ করতে হয়- যেটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে বলেছি। দেখুন, এটি তো সবাইকে মিলে করতে হবে। অপপ্রচারকে তো অবশ্যই সংবাদ হিসেবে তো প্রচার করা ঠিক নয়, তাই না?
তিনি বলেন, আমাদের কাছে আপনাদের যেরকম চাওয়া থাকবে, ভবিষ্যৎ সরকারের কাছে, যারাই আসুক সরকারে, রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমাদেরও অনুরোধ থাকবে আপনাদের প্রতি, যে অপপ্রচার সংবাদ হিসেবে যেন প্রচারিত না হয়, এই বিষয়টিকে একটু সকলকে সচেতন বা খেয়াল রাখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।