জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বলেছেন, জনগণের কল্যাণে সরকারের কোনো শাখা কাজ করতে পারছে না। প্রত্যেকটি শাখা রাজনৈতিক অনুকরণ ও কুক্ষিগত করা হয়, তার একটি বড় কারণ— কেউ কাউকে জবাবদিহি করতে পারে না।

রাজধানীতে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. তাসনিম জারা বলেন, কেবিনেটের প্রধান প্রধানমন্ত্রী, ঠিক আছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী যদি দুর্নীতি করেন তাকে কে ধরবেন, তার জবাবদিহি কে নেবে, নেবে দুর্নীতি দমন কমিশন? কিন্তু সেই দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার নিয়োগ কে দেবে? তাকে নিয়োগ দেবেন প্রধানমন্ত্রীর আদেশে রাষ্ট্রপতি। এ রকম নিয়ম থাকলে তা কীভাবে সে জবাবদিহি নিশ্চিত করবে? এটা এমন হয়ে গেল, যে পুলিশের ডাকাত ধরার কথা, সেই পুলিশ ডাকাতই নিয়োগ দিচ্ছে। তাহলে সে জবাবদিহি কীভাবে নিশ্চিত করবে?
তিনি বলেন, বাংলাদেশ শ্রীলংকার মধ্যে ম্যাচ হলে সেখানে দুদেশের আম্পায়ার থাকবে না। তারপরও আপিল করার উপায় আছে। আমাদের ওরকম নেই, আমাদের বাই ডিজাইন করা আছে। আমাদের অনেক মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে কে জবাবদিহির ব্যবস্থা রাখবে? মানবাধিকার কমিশনারের নিয়োগ কীভাবে হয়, এটি আপনি আমি সবাই ভালো জানি। মানবাধিকার কমিশনার নিয়োগ দেবে আইনমন্ত্রী। বাছাই কমিটিতে থাকেন আইনমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারা যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন করেন, যে কমিশনার তাদের ধরার কথা, জবাবদিহি করার কথা, তারাই তার নিয়োগকর্তা।
তিনি আরও বলেন, সাত সদস্যের বাছাই কমিটি। সেই কমিটিতে থাকেন আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্পিকার ও আইন পরিষদের প্রধান এবং স্পিকার মনোনীত করবেন দুজন এমপিকে। যাদের একজন দলের, একজন বিরোধী দলের। তাহলে কমিটি কী করে এ জবাবদিহির মধ্যে থাকবে?
সূত্র: যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



