বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রিক গাড়ির কনসেপ্ট প্রকাশ করল টাটা। এই গাড়ির নাম টাটা কার্ভ ইভি। এবছরই গাড়িটি বাজারে ছাড়া হবে।
৮ মি প্লাস এসইউভি স্পেসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে এই ইভির, সঙ্গে হ্যারিয়ার এবং টাটা নেক্সনের মাঝামাঝি পজিশন দেওয়া হবে এই গাড়িকে। ইতিমধ্যেই ২০২৩ সালের অটো এক্সপোতে এই গাড়ির পেট্রোল ভার্সন প্রদর্শিত হয়ে গিয়েছে। টাটা নেক্সনের ইভির থেকে এই মডেলে সবথেকে বড় চমক হল এর দুর্দান্ত রেঞ্জ।
কত রেঞ্জ থাকছে ?
নেক্সন ইভির মডেলটির মতই কার্ভ ইভিতেও এমআর ও এলআর ভ্যারিয়ান্ট থাকছে এই গাড়িতে। নেক্সন এলআরের ব্যাটারি প্যাক মিডিয়াম রেঞ্জের জন্য থাকছে ৪০.৫ কিলোওয়াট আওয়ার। বেশি রেঞ্জের মডেলের ক্ষেত্রে ব্যাটারি প্যাকটিও বড় থাকছে। প্রায় ৫০ কিলোওয়াট আওয়ার বা তার বেশি ক্ষমতার ব্যাটারি প্যাক থাকতে পারে এই মডেলগুলিতে যা কিনা গাড়িকে সর্বোচ্চ ৫৫০ কিমি. রেঞ্জ এনে দিতে পারে।
এমআর ভ্যারিয়ান্টের ক্ষেত্রে যেমন ৪৬০ কিমি রেঞ্জ থাকছে, অন্যদিকে এলআর ভ্যারিয়ান্টের রেঞ্জ হতে পারে সর্বোচ্চ ৫৫০ কিমি। এই রেঞ্জই এক সময় স্ট্যান্ডার্ড লিমিট হয়ে যাবে ইভির দুনিয়ায়।
টাটা মোটরসের কনসেপ্ট কার্ভ ইভির কেবিনে রয়েছে টুইন অল-ডিজিটাল ডিসপ্লে স্ক্রিন, ফ্যাব্রিক-ফিনিশড ড্যাশবোর্ড, প্যানোরামিক সানরুফ, আলোকিত লোগো ও আরও অনেক কিছু। এটি বর্তমানে যেকোনও টাটা ইভির থেকে ভালো পারফরম্যান্স অফার করবে। এই গাড়ির সর্বোচ্চ রেঞ্জ ৫০০ কিলোমিটার হতে পারে। যা নিয়ে আশাবাদী অটো ব্লগাররাও।
টাটা কার্ভ ইভির পেছনের ও সামনের প্রোফাইলে লম্বা এলইডি লাইট রয়েছে। এসইউভি বডি শেপ বড় চাকার অ্যালোয়, বেশি গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স ও কুপের মতো ছাদ এই কনসেপ্ট বৈদ্যুতিক গাড়িকে একটি শক্তিশালী পারফরম্যান্স বেসড গাড়িতে পরিণত করতে পারে।
ইন্টিরিয়রে কী বদল আসছে?
একইরকম বড় স্ক্রিন, বড় ডায়াল থাকছে এই মডেলেও। তার সঙ্গে জুড়ে যাচ্ছে ৩৬০ ডিগ্রি ক্যামেরা এবং এডিএসে প্রযুক্তি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।