Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home দেড়শ বছরে টাটা গোষ্ঠী যেভাবে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে গেছে
আন্তর্জাতিক

দেড়শ বছরে টাটা গোষ্ঠী যেভাবে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে গেছে

Saiful IslamFebruary 28, 20248 Mins Read
Advertisement

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : টাটা গ্রুপ অব কোম্পানির মোট সম্পদের পরিমাণ ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে বলে সম্প্রতি খবর প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমে। এই সম্পদ টাটা গোষ্ঠীকে ভারতের সবচেয়ে মজবুত সংস্থা বানিয়েছে।

টাটা গ্রুপ

সেই হিসাবে টাটা গোষ্ঠীর মোট সম্পত্তি পাকিস্তানের ‘গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট’ বা জিডিপির চেয়েও বেশি।

এছাড়া প্রায়শই শোনা যায় রিলায়েন্স গ্রুপের প্রধান মুকেশ আম্বানি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হয়েছেন বা বিলিয়নেয়ার ব্যবসায়ী গৌতম আদানি তাকে (মুকেশ আম্বানি) পেছনে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু এদের মধ্যে টাটার কোনও উল্লেখ কিন্তু শুনতে পাবেন না।

অথচ চা থেকে শুরু করে জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার গাড়ি এবং লবণ তৈরি থেকে বিমান পরিষেবা বা হোটেল গ্রুপ চালানো, জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে টাটা গোষ্ঠীর প্রভাব দৃশ্যমান। এই বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে টাটা গ্রুপের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ছিল আনুমানিক ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

আর ইন্টারন্যাশানাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ) সম্প্রতি জানিয়েছে, তাদের অনুমান অনুযায়ী পাকিস্তানের জিডিপি ৩৪ হাজার ১০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ, পাকিস্তানের জিডিপিকে ছাড়িয়ে গেছে টাটা গোষ্ঠীর মোট সম্পদ।

আমরা যদি শুধুমাত্র টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের কথাই বলি, তাহলে এই কোম্পানির সম্পদ হলো ১৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। এর মোট সম্পদ পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রায় অর্ধেক। প্রসঙ্গত, টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস হলো ভারতের দ্বিতীয় সবচেয়ে বড় সংস্থা।

টাটার পথ চলা শুরু
এই সমস্ত কিছু একদিনে তৈরি হয়নি। প্রায় দেড়শো বছর সময় লেগেছে এই সাফল্য ছুঁতে। কিন্তু একাধিক ক্ষেত্রে টাটা গোষ্ঠী প্রথম ভারতীয় সংস্থা হিসেবে নিজেদের ছাপ রেখেছে।

লোনাভালা বাঁধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার সময় ৮ ফ্রেব্রুয়ারি ১৯১১ সালে টাটা গ্রুপের প্রধান স্যার দোরাবজি টাটা তার বাবা জামশেদজি টাটার চিন্তা-ভাবনার কথা বলেছিলেন। দোরাবজি টাটা ১৮৬৮ সালে এই কোম্পানির ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।

এই শিল্প গোষ্ঠীর অধীনে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন খাতে ব্যবসা করে এরকম ৩০টি কোম্পানি রয়েছে।

দোরাবজি টাটা বলেছিলেন, ‘আমার বাবার জন্য, সম্পদ উপার্জন করা অনেক পরের বিষয় ছিল। তিনি এদেশের মানুষের শিল্প ও সামগ্রিক অবস্থার উন্নয়নকে সব সময় অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছেন। তিনি তার জীবনে বিভিন্ন সময়ে যে প্রতিষ্ঠানগুলো শুরু করেছিলেন তার আসল উদ্দেশ্য ছিল সেই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উন্নয়ন।’

কোম্পানির ওয়েবসাইটে তাদের মিশন বলে যে কথাগুলোর উল্লেখ রয়েছে তা হলো- পৃথিবীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার উদ্দেশ্যে একাধিক কোম্পানি শুরু করেছে এই শিল্প গোষ্ঠী।

বলা হয়, ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে টাটার প্রতিষ্ঠাতা জামশেদজি টাটাকে তার চেহারার কারণে বোম্বের একটি দামি হোটেলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা তার ওপর তীব্র প্রভাব ফেলেছিল। তিনি স্থির করেন এর চেয়ে অনেক ভালো একটি হোটেল তৈরি করবেন তিনি যেখানে প্রত্যেক ভারতীয়র আসা যাওয়ার অনুমতি থাকবে।

প্রথম বিলাসবহুল হোটেল
এই ভাবে ১৯০৩ সালে মুম্বাইয়ে সমুদ্রের ধারে তাজ হোটেল তৈরি হয়। এই হোটেল মুম্বাই শহরের একমাত্র ইমারত ছিল যেখানে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, আমেরিকান পাখা এবং জার্মান লিফটের ব্যবস্থা ছিল। ইংরেজ খানসামারা এই হোটেলের কর্মচারী হিসাবে কাজ করতেন। এখন আমেরিকা এবং ব্রিটেন-সহ নয়টি দেশে এর শাখা রয়েছে।

জামশেদজি টাটা ১৮৩৯ সালে একটি পারসি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পূর্বপুরুষদের অনেকে পারসি ধর্মগুরু ছিলেন। তিনি কাপাস (এক ধরনের তুলা), চা, তামা, পিতল, এবং আফিমের (সে সময় বেআইনি ছিল না) ব্যবসায়ে প্রচুর অর্থ রোজগার করেন।

তিনি পুরো বিশ্ব ঘুরে দেখেছিলেন এবং নতুন নতুন আবিষ্কার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন জামশেদজি টাটা। ব্রিটেন সফরের সময় ল্যাঙ্কাশায়ারে কটন মিল দেখার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন এই ক্ষেত্রে ভারত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারে।

প্রথম টেক্সটাইল কোম্পানি
সালটা ১৮৭৭। ‘মহারানী মিলস’ নামে দেশের প্রথম টেক্সটাইল মিল খোলেন জামশেদজি টাটা। কুইন ভিক্টোরিয়াকে যেদিন ভারতের সম্রাজ্ঞী হিসাবে মুকুট পরানো হয়েছিল সেদিন ‘মহারানী মিলস’-এর উদ্বোধন করা হয়।

ভারতের উন্নয়ন সম্পর্কে জামশেদজির দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি বলেছিলেন, ‘একটি সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য, সবচেয়ে দুর্বল এবং সবচেয়ে অসহায় মানুষকে সমর্থন করার পরিবর্তে, সবচেয়ে সক্ষম এবং সবচেয়ে প্রতিভাবান ব্যক্তিদের সাহায্য করা গুরুত্বপূর্ণ যাতে তারা তাদের দেশের সেবা করতে পারে।’

প্রথম শিল্প শহর
জামশেদজি টাটার সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল একটি ইস্পাত কারখানা তৈরি করা। কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়। ছেলে দোরাবজি টাটা তার বাবার মৃত্যুর পর সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। টাটা স্টিল ১৯০৭ সালে উৎপাদন শুরু করে। এইভাবে ভারত এশিয়ার প্রথম দেশ হয়ে ওঠে, যেখানে একটি ইস্পাত কারখানা তৈরি করা হয়েছিল।

এই কারখানার কাছে একটি শহর প্রতিষ্ঠিত হয়ে যার নাম জামশেদপুর। আজ এটা ভারতের ইস্পাত শহর হিসাবে পরিচিত।

জামশেদজি টাটা তার ছেলে দোরাবকে একটি শিল্প শহর প্রতিষ্ঠার জন্য চিঠি লিখেছিলেন। তিনি লিখেছেন, ‘এই শহরের রাস্তা চওড়া হওয়া উচিত। গাছপালা, খেলার মাঠ, পার্ক এবং ধর্মীয় স্থানের জন্যও জায়গা থাকতে হবে।’

টাটা নিজেই তার কর্মচারীদের কল্যাণের জন্য ১৮৭৭ সালে পেনশন, ১৯১২ সালে আট ঘণ্টা কাজের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া এবং ১৯২১ সালে নারী কর্মীদের মাতৃত্বকালীন বিশেষ সুযোগ-সুবিধাসহ একাধিক নীতি তৈরি করেছিলেন।

প্রথম বিমান পরিষেবা
টাটা পরিবারের আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর টাটা ১৯৩৮ সালে ৩৪ বছর বয়সে কোম্পানির চেয়ারম্যান হন এবং প্রায় অর্ধশতাব্দী ধরে এই পদে ছিলেন। একজন শিল্পপতি হওয়ার চেয়ে বিমান চালক হওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহ ছিল তার। জাহাঙ্গীর টাটার এই আগ্রহ জন্মেছিল লুই ব্লেরাইটের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর।

লুই ব্লেরাইট প্রথম বিমান চালক ছিলেন যিনি ইংলিশ চ্যানেলের ওপর দিয়ে বিমান উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। জাহাঙ্গীর টাটা প্রথম ভারতীয় ছিলেন যিনি ‘বম্বে ফ্লাইং ক্লাব’ থেকে বিমান ওড়ানোর প্রশিক্ষণ নেন। তার এয়ার লাইসেন্সে নম্বর ছিল ১, যা নিয়ে তার বেশ গর্বও ছিল।

বিমানপথ মারফত ডাক পরিষেবা তিনিই ভারতের প্রথম চালু করেন। ওই বিমানে প্রায়শই ডাকের সঙ্গে যাত্রীও বহন করা হতো। পরে এই ডাক পরিষেবা ভারতের প্রথম বিমান পরিষেবা ‘টাটা এয়ারলাইনস’ হয়ে ওঠে, যার নাম কিছু সময়ের পর পরিবর্তন করে ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ রাখা হয়।

পরে ‘এয়ার ইন্ডিয়া’ ভারত সরকার নিজের মালিকানায় নিয়ে নিলেও আবার সেই বিমান সংস্থাটি সরকারের কাছ থেকে কিনে নিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। এয়ার ইন্ডিয়া ফিরিয়ে নেওয়ার পর টাটা সন্সের কাছে এখন তিনটি এয়ারলাইন্স রয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়া ছাড়াও ‘এয়ার ভিস্তারা’ রয়েছে যেখানে তাদের সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের সাথে অংশীদারিত্ব রয়েছে। টাটা গোষ্ঠীর আরেকটি বিমান কোম্পানি হলো ‘এয়ার এশিয়া’ যেখানে মালয়েশিয়ার সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্ব রয়েছে।

এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে, টাটা সন্সের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখর ২০২১ সালের অক্টোবরে একটি বিবৃতি জারি করেছিলেন। যেখানে তিনি একে একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসাবে আখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, দেশের প্রধান বিমান সংস্থাগুলোর মালিক হওয়া গর্বের বিষয়।

এন চন্দ্রশেখর তার বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘আমাদের একটি আন্তর্জাতিক স্তরের বিমান পরিষেবা চালানোর চেষ্টা করতে হবে যাতে ভারত গর্বিত হতে পারে।’

তিনি বলেছিলেন, ‘মহারাজার (এয়ার ইন্ডিয়ার লোগো) প্রত্যাবর্তন জেআরডি টাটার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জ্ঞাপন হবে যিনি ভারতে প্রথম বিমান পরিষেবা শুরু করেছিলেন।’

কম্পিউটারের দুনিয়ায় প্রবেশ
এর আগে, ভারত সরকার টাটা গ্রুপের প্রধান জেআরডি টাটাকে এয়ার ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যানের পদ দিয়েছিল। তিনি ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত এই পদে ছিলেন। এরপর ভারত সরকারের কর্মকর্তারা সেই পদ দখল করতে শুরু করেন।

পরিবারের ঐতিহ্য বজায় রেখে ১৯৬৮ সালে এমন একটি ব্যবসা শুরু করেন যা সেই সময়ে শুধুমাত্র উন্নত দেশগুলোতে প্রচলিত ছিল। এই ব্যবসা ছিল কম্পিউটার-সম্পর্কিত। ‘টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ বা ‘টিসিএস’ নামক এই সংস্থাটি সারা বিশ্বে সফটওয়্যার সরবরাহ করে। বর্তমানে এটি টাটা গ্রুপের অন্যতম লাভজনক কোম্পানি।

তার দূরের আত্মীয় রতন টাটা ১৯৯১ সালে কোম্পানির দায়িত্ব নেন এবং তার নেতৃত্বে টাটা সারা বিশ্বে তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করে। টেটলি টি, এআইজি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, বোস্টনের রিৎজ কার্লটন, ডেউয়ের ভারী যানবাহন উৎপাদনের ইউনিট এবং কোরাস স্টিল ইউরোপের মতো সংস্থাগুলোকে টাটা কিনেছে।

টাটা গোষ্ঠীর সাফল্যের রহস্য
টাটা সন্স হলো মূল বিনিয়োগ হোল্ডিং কোম্পানি এবং টাটা কোম্পানিগুলোর প্রবর্তক। টাটা সন্সের ৬৬ শতাংশ ইকুইটি শেয়ার ক্যাপিটাল এমন বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে, যাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অবদান রয়েছে।

আমরা টাটা কোম্পানি কর্পোরেট কমিউনিকেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। যদিও টাটা গোষ্ঠী এখনও কোম্পানির সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি, তবে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত, তারা তাদের সম্পদ ৩০ হাজার কোটি ডলার বলে ঘোষণা করেছিল এবং জানিয়েছিল সারা বিশ্বে তাদের দশ লাখেরও বেশি কর্মী রয়েছেন।

কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী, টাটা এন্টারপ্রাইজ নিজেদের পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্বে এবং তত্ত্বাবধানে স্বাধীনভাবে কাজ করে। টাটার অসাধারণ সাফল্য সম্পর্কে আমরা অর্থনৈতিক বিশ্লেষক শঙ্কর আইয়ারের সাথে কথা বলেছিলাম।

তিনি বলেন, ‘আম্বানি বা আদানির নাম (প্রকাশ্যে) আসে কারণ তাদের সংস্থাগুলো ব্যক্তিগত। টাটা বিভিন্ন সংস্থার একটি গোষ্ঠী এবং একটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয়। তাই এই সংস্থাকে নিয়ে সেভাবে আলোচনা করা হয় না।’

ফোনে কথা বলার সময় তিনি জানান, কর্পোরেট জগতে এই ধরনের তুলনা তিনি সঠিক বলে মনে না করলেও ভারতে অনেক বিষয়ে টাটা গোষ্ঠীর মর্যাদা ‘মায়ের’ মতো।

জিই ইন্ডিয়ার অ্যালস্টম ইন্ডিয়া’র সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বর্তমানে হয়সাং ইন্ডিয়া লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাগেশ তিলওয়ানি বিবিসির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘টাটার বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো এর নৈতিক, ন্যায়যুক্ত এবং স্বচ্ছ ব্যবস্থা যা কর্মীদের সঙ্গে একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করে।’

টাটা গোষ্ঠীর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিলওয়ানির মতে, মূলধন বিনিয়োগের প্রতি টাটার একটি সুস্পষ্ট দৃষ্টি এবং কৌশল রয়েছে, যার উপযুক্ত উদাহরণ হলো স্টারবাকস, ক্রোমা কনসেপ্ট এবং জাগুয়ার ব্র্যান্ড ইত্যাদি কেনা।

তিনি বলেন, ‘তারা একটি ‘ননসেন্স’ বিষয় এড়িয়ে চলে এবং কোনো ধুমধাম ছাড়াই শান্তভাবে এবং সম্পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করে।’

তার মতে, টাটা গোষ্ঠী তাদের কর্পোরেট সোশ্যাল রেশপন্সিবিলিটির কথা মাথায় রেখে ‘ব্র্যান্ড পজিশনিং’ করেছে। তিনি বলেছেন, ‘এই কারণে, সারা দেশে ভোক্তারা তাদের সঙ্গে যুক্ত এবং তারা নিরাপদ বোধ করেন। তাদের কাছে এই ব্র্যান্ডটি বিশ্বস্ত এবং সৎ।’

আবেগপ্রবণ এবং অনুপযুক্ত ট্রেডিং সিদ্ধান্ত এড়ানো, ঝুঁকির ভারসাম্য বজায় রাখতে পোর্টফোলিও পরিবর্তন করা এবং অত্যন্ত স্পষ্ট পরিচালন পদ্ধতি কিন্তু এই শিল্প গোষ্ঠীর উত্তরোত্তর বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

সংস্থাটির একটি কার্যকর ‘সাপ্লাই চেন সিস্টেম’ রয়েছে এবং তারা কর্মীদের কল্যাণের বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখে।

টাটা পাওয়ারের নয়াদিল্লির প্রজেক্ট ম্যানেজার বিবেক নারায়ণ বলেন, প্রথম দিকে জাগুয়ার অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তকে বাজারে ভালো সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি, কিন্তু পরে তা বেশ সফল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

একইভাবে, সম্প্রতি টাটা গোষ্ঠী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসকে আবার অধিগ্রহণ করেছে কিন্তু তার দিক ও গতির রূপরেখা দেওয়া কঠিন।

বিবেক নারায়ণ জানিয়েছেন, টাটার সাফল্যের গ্যারান্টি হলো এর বৈচিত্র্য। এই শিল্প গোষ্ঠী যে ক্ষেত্রেই কাজ করুক না কেন তারা ইতিবাচক পরিবেশ আনার চেষ্টা করে। বিবিসি বাংলা

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘ছাড়িয়ে অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক গেছে গোষ্ঠী টাটা দেড়শ পাকিস্তানের বছরে যেভাবে
Related Posts
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী -সৌদি আরব

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যে সুখবর দিল সৌদি আরব

December 24, 2025
লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

আমিরাতে ৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

December 24, 2025
কানাডা

বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক করল কানাডা

December 24, 2025
Latest News
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী -সৌদি আরব

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যে সুখবর দিল সৌদি আরব

লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

আমিরাতে ৩ কোটি টাকার লটারি জিতলেন দুই বাংলাদেশি

কানাডা

বাংলাদেশে অবস্থানরত নাগরিকদের সতর্ক করল কানাডা

বারমুডা ট্রায়াঙ্গেল

রহস্যময় জায়গা, যেখানে গেলে ফেরে না কেউ

রহস্যময় হ্রদ

এই হ্রদের কাছে গেলেই প্রাণ যাবে আপনার, বিজ্ঞানীরাও ভয় পান যেতে

সবচেয়ে বড় কলা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কলা এটি, ওজন ৩ কেজি

শিখদের বিক্ষোভ আজ

হাদি হত্যার প্রতিবাদে সাত দেশের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে শিখদের বিক্ষোভ আজ

সেনাপ্রধান নিহত

বিমান দুর্ঘটনায় লিবিয়ার সেনাপ্রধান নিহত

JD Vance

নিজের স্ত্রীর সমালোচনাকারীদের আবর্জনা খেতে বললেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট

বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ

ভারতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে আবারও তলব

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Editorial Team Info
  • Funding Information
  • Ethics Policy
  • Fact-Checking Policy
  • Correction Policy
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.