বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুটি ভেরিয়েন্টের ব্যাটারি সংযোগ দেওয়া হবে গাড়িটিতে। গ্রাহকরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী ভেরিয়েন্ট ক্রয় করতে পারবেন। বর্তমানে ভারতীয় বাজারে 80 শতাংশ ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণ করছে টাটা। তবে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি টাটার পরিকল্পনা আরও সহজ করে দিয়েছে।
ভারতের সাধারণ নাগরিক সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে একটি গাড়ির শখ পূরণ করলেও তেলের উর্ধ্বমূল্যের কারণে বেশিরভাগ গাড়ি প্রেমিরা গাড়ি চালাতে ভয় পাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জ্বালানি তেলের বিকল্প হিসেবে বাজারে ইলেকট্রিক গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে টাটা। আর সেই উদ্দেশ্যে সবচেয়ে কম মূল্যে এবং দুর্দান্ত বৈশিষ্ট্যের সাথে ই-গাড়ি বাজারে বিক্রি করার সমস্ত পরিকল্পনা সেরে ফেলেছে এই গাড়ি নির্মাণ কোম্পানিটি।
নিবন্ধের শুরুতে যদি গাড়িটির অত্যাধুনিক বৈশিষ্ট্যের কথা বলি, তবে Tata Nano EV ইলেকট্রিক গাড়িটিতে পাওয়ার স্টিয়ারিং, এসি, ফ্রন্ট পাওয়ার উইন্ডোজ, ব্লুটুথ, মাল্টি-ইনফরমেশন ডিসপ্লে, রিমোট লকিং সিস্টেম, অ্যান্ড্রয়েড অটো এবং অ্যাপল কারপ্লে সংযোগ সহ 7-ইঞ্চি টাচস্ক্রিন ব্যবহার করা হয়েছে। এর সঙ্গে ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম, ব্লুটুথ এবং ইন্টারনেট সংযোগের মত সুবিধা থাকবে।
পাশাপাশি কোম্পানির তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুটি ভেরিয়েন্টের ব্যাটারি সংযোগ দেওয়া হবে গাড়িটিতে। গ্রাহকরা নিজের পছন্দ অনুযায়ী ভেরিয়েন্ট ক্রয় করতে পারবেন। যার মধ্যে প্রথমটি একটি 19 kWh ব্যাটারির প্যাক যা একবার সম্পূর্ণ চার্জে 250 কিলোমিটারের পর্যন্ত মাইলেজ দিতে সক্ষম।
এর দ্বিতীয় ব্যাটারি প্যাক সম্পর্কে যদি বলি, এটি একটি 24 kWh ব্যাটারি প্যাক, যা একবার সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে গেলে, আপনি 315 কিলোমিটারের ড্রাইভ রেঞ্জ পাবেন। যদি দামের কথা বলি তবে জানলে অবাক হবেন যে, চাইলে গাড়িটি আপনি তিন লাখের কম মূল্যে ক্রয় করতে পারবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।