লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকেই আছেন, যারা চায়ে চিনি খাওয়া ছেড়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ ওজন কমানোর ইচ্ছায়, কেউ আবার ডায়াবিটিসের ভয়ে। কর্মব্যস্ত জীবনে খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, ঘুমের ঘাটতি, অত্যধিক মানসিক চাপের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগব্যাধি। স্থূলতা, ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার আরও একটি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হল চিনি খাওয়ার অভ্যাস। তাই আমরা অনেকেই ছাড়তে চাই চায়ের বাড়তি চিনি। তাদের জন্য আজকে থাকল ৫টি উপায়।
১. প্রথমে, মনস্থির করেন যে চায়ে বাড়তি চিনি খাবেন না, তাহলে হঠাৎ করে সেটি করতে চাইলে সম্ভব না হওয়ার আশঙ্কা বেশি। বরং চিনি খাওয়া কমাতে হবে ধীরে ধীরে, ধাপে ধাপে। আগে হয়তো এক কাপ চায়ে দুই চামচ চিনি খেতেন, এখন থেকে এক চামচ চিনি দেওয়ার চেষ্টা করুন। একবার এক চামচ চায়ে অভ্যস্ত হয়ে গেলে দেখবেন, বেশি চিনি দিলে আর সেই চা খেতে পারছেন না। এভাবে আস্তে আস্তে আরও কমিয়ে একেবারে বাদ দিতে পারবেন চিনি।
২. প্রতিদিন যদি দুই কাপ করে চা খান এবং চায়ে যদি দুই চামচ করে চিনি দেওয়া হয়, তবে সপ্তাহে ১৪ কাপ চা এবং ২৮ চা চামচ চিনি আপনার শরীরে যাচ্ছে। এবার একটি বোলে ২৮ চা চামচ নিলে দেখতে পাওয়া যাবে শুধু এক সপ্তাহে কতখানি চিনি খাওয়া হয় শুধু চায়ের সঙ্গেই। ছোট্ট এই পরীক্ষা চিনি খাওয়া ইচ্ছে অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
৩. অতিরিক্ত চিনির মতো অতিরিক্ত ক্যাফেইনও শরীরের জন্য ভালো নয়। চায়ে চিনির পরিমাণ কমিয়ে আনতে চাইলে চা পানের অভ্যাসও পরিমিত করতে হবে।
৪. চিনির বদলে সামান্য গুড় বা মধু দিয়েও চা পান করা যেতে পারে। গুড়, তালমিশ্রি বা মধু তুলনামূলকভাবে প্রাকৃতিক, আর সাদা চিনির মতো ততটা স্বাস্থ্যঝুঁকি নেই।
এ ছাড়া, চায়ে লেবু, মাল্টা, আদা, গোলমরিচ বা লবঙ্গ ব্যবহার করা যেতে পারে। মশলার ঘ্রাণ আর স্বাদের জন্য চিনি ছাড়া চা পান করা যায় সহজেই। দুধ চায়ে চিনি বাদ দেওয়া তুলনামূলকভাবে সহজ। দুধের কারণে চা এমনিতেই মিষ্টি লাগে। ফলে চায়ের তেতো ভাবটা তেমন থাকে না।
৫. তুলসী চা, পুদিনা চা, অর্জুন চাসহ বাজারে এখন বেশ কয়েক ধরনের হারবাল চা পাওয়া যায়। সেই চা পাতারগুলোর সুঘ্রাণ চিনির আকর্ষণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করে। তাছাড়া গ্রিন টিও খেতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।