জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পদত্যাগ পত্রে সাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। দোকান ভাড়া ও ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে একটি মহল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ইস্যু বানিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকালে এ ঘটনার বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন দক্ষিণ জাওরানী আব্দুল লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন। এর আগে গত বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে ওই বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
লিখিত বক্তব্যে থেকে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে একটি মহলের সঙ্গে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের দ্বন্দ্ব চলছে। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের দোকান ভাড়া নিয়ে সাকিব নামে এক সাবেক শিক্ষার্থী সাকিবের বাবা দুলাল হোসেনের সাথে প্রধান শিক্ষকের বিরোধ চলে আসছে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে সরকার পতনের পর ওই মহলটি ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে আরো ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
তাদের ইন্ধনে ওই স্কুলের ছাত্র সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব বহিরাগত ছেলে জড়ো করে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে৷ এ সময় সাকিব ও তার লোকজন প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও তার ছেলে জিয়াদ হাসানকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করলে জীবন বাঁচাতে পদত্যাগপত্রে সাক্ষর করতে বাধ্য হন তিনি৷
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, নিরাপত্তা চেয়ে ইতিমধ্যে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি ব্যক্তি আক্রোশের শিকার। এ সময় পুরো ঘটনাটি নিয়ে জেলা প্রশাসক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং শিক্ষা উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে পদত্যাগে বাধ্যকারীরা নিজেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী দাবি করলেও হাতীবান্ধায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলছেন তাদের তারা চিনেন না। এ ঘটনার সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক নেই।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।