জুমবাংলা ডেস্ক : মুন্সীগঞ্জে ধর্ম অবমাননা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সদর উপজেলার বিনোদপুর রাম কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও গণিতের শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের জামিন মঞ্জুর হয়েছে।
আজ রবিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মোতাহারাত আখতার ভুঁইয়ার আদালতে এই জামিন মঞ্জুর হয়।
দুপুরে পিনপতন নীরবতার মধ্যে আসামির পক্ষে জামিনের যুক্তিতর্ক তুলে ধরেছেন অভিযুক্ত শিক্ষক হৃদয় চন্দ্র মণ্ডলের আইনজীবী শাহীন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। সরকার পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছেন অ্যাডভোকেট পল্টু।
হৃদয় মণ্ডলকে গ্রেপ্তারের ১৯ দিনের মাথায় তৃতীয় দফায় আজ শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর হলো।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন চেয়ে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন হৃদয় মণ্ডলের আইনজীবী শাহিন মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। সেদিন মামলাটিতে আসামির জামিন শুনানি ১০ এপ্রিল ধার্য করেন আদালত। এর আগে গত ২৩ ও ২৮ মার্চ আদালতে তার জামিন চাওয়া হয়েছিল। সেই সময় আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছিলেন।
গত ২২ মার্চ ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বিদ্যালয়ের অফিসসহকারী মো. আসাদ বাদী হয়ে হৃদয় মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। ওই দিনই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে সম্মানের সঙ্গে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
তদন্তের বিষয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, মামলাটি স্পর্শকাতর। খুঁটিনাটি বিষয়ে গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত প্রতিবেদন দিলেই প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে।
জানা যায়, গত ২০ মার্চ দশম শ্রেণির মানবিক শাখার বিজ্ঞানের ক্লাস নিচ্ছিলেন হৃদয় চন্দ্র মণ্ডল। সেখানে বিজ্ঞান ও ধর্ম বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে কথোপকথন রেকর্ড করা হয়। কোনো এক শিক্ষার্থী ওই কথোপকথনের ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তী সময়ে প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দীনকে বিষয়টি জানানো হয়। প্রধান শিক্ষক সেদিনই হৃদয় চন্দ্রকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন এবং শিক্ষার্থীদের শান্ত থাকতে বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের বিষয়টি জানায়। এর পরের দিন সকালে তারা বিদ্যালয়ে এসে ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।