জুমবাংলা ডেস্ক : ভারতের সিকিমে পাহাড় ধসের কারণে তিস্তা নদীর উপরে নির্মিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে পশ্চিমবঙ্গের গজলডোবা বাঁধে পানির চাপ বাড়লেও তিস্তায় বন্যার শঙ্কা নেই। ফলে গুজবে কান না দিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ছয়টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমা ৬৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার)। এছাড়াও কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সে.মি নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ সকাল নয়টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭৩ সে. মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
গত দুই দিনে তিস্তা নদীর ডান তীর লালমনিরহাট সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের হরিনচড়া গ্রামে নদী ভাঙনে কিছু জমিজমা ভেঙে বিলীন হয়েছে। তবে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে শতাধিক পরিবার। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে জিও ব্যাগ ফেললেও তা কোনো কাজে আসছে না।
তিস্তা পাড়ের কদম আলী বলেন, গত দুইদিন ধরে তিস্তার পানি একটু একটু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনেকে বলছেন ভারতের বাঁধ ভেঙে তিস্তা নদীতে বন্যা শুরু হবে। তাই গত দুইদিন ধরে আতঙ্কে আছি।
তবে বর্ষা মৌসুমে তিস্তা পাড়ে যে স্বাভাবিক প্রবাহ থাকার কথা তা বিরাজ করছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তিস্তায় বন্যার গুজব ছড়ালেও বাস্তবে তার কোনো মিল নেই। তিস্তা এলাকায় স্বাভাবিক পানি প্রবাহ চলছে। পানি বাড়ার তেমন কোনো শঙ্কা নাই।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে। তিস্তা পাড়ের মানুষদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, জেলার কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাক ফেলে ভাঙন রোধের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিস্তায় ভয়াবহ বন্যার যে গুজব তা যাতে আতঙ্ক তৈরি না করে আমরা সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।