লাইফস্টাইল ডেস্ক : দাঁতে এনামেল নামক এক প্রকার উপাদান থাকে যা দাঁতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই উপাদানটির ক্ষয় হয়ে গেলে দাঁতের ভেতরে থাকা স্নায়ুগুলো উন্মুক্ত হয়ে পড়ে। ঠান্ডা খাবার বা পানীয় স্নায়ুগুলোর সংস্পর্শে এলে দাঁত শিরশির করে ওঠে। যাকে সেনসিটিভিটি বলে। কিছু ঘরোয়া টোটকা কাজে লাগিয়ে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
বিশেষ ধরনের মাজন
দাঁতের শিরশিরানি দূর করতে এক ধরনের বিশেষ মাজন ব্যবহৃত হয়। একে ডিসেনসিটাইজিং টুথপেস্ট বলে। এই মাজনে কিছু বিশেষ উপাদান থাকে যা উন্মুক্ত স্নায়ুমুখ ঢাকতে সাহায্য করে। এছাড়া দাঁত মাজার ক্ষেত্রে নরম ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। আরাম পাবেন।
লবণ পানি
প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে লবণ পানি। এটি ব্যাক্টেরিয়ার আক্রমণ কমায়। দিনে অন্তত দুই বার ঈষদুষ্ণ লবণ পানি দিয়ে কুলকুচি করুন। দাঁতের শিরশিরানিতে আরাম পাবেন। এক্ষেত্রে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে আধা চামচ লবণ মেশাতে হবে।
হলুদ
দাঁতের শিরশিরানি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে হলুদ। এক টেবিল চামচ হলুদ, আধা চা চামচ সরিষার তেল এবং আধা চা চামচ লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ দাঁতে লাগালে শিরশির করার সমস্যা দূর হবে। হলুদে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান থাকে। এটি জীবাণুনাশ ও প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ কার্যকর।
ভ্যানিলার নির্যাস
প্রদাহনাশক হিসেবে বেশ কার্যকর ভ্যানিলা নির্যাস। এক টুকরো তুলাতে ভ্যানিলা নির্যাস নিয়ে কয়েক মিনিট দাঁতের গোঁড়ায় চেপে রাখুন। ধীরে ধীরে সমস্যা কমবে।
ক্যাপসিকাম
দাঁতের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। এটি দাঁতের সেনসিটিভিটি সমস্যা কমিয়ে আনতে সক্ষম।
ঘরোয়া এসব টোটকা কাজে লাগিয়েও যদি দাঁতের শিরশিরানি সমস্যা না কমে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।