জুমবাংলা ডেস্ক : সারাদেশের মতো ঢাকাও এখন প্রখর রোদে উত্তপ্ত। কংক্রিটের এই শহরে ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকলেও অনুভূত হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।
আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অপরিকল্পিত ইট-কংক্রিটের নগরে গাছপালা ও জলাধার কমে যাওয়ায় গরম দিন দিন তীব্র হচ্ছে। দিনের তাপ দ্রুত বের না হওয়ায় রাতেও থাকছে গরম থাকছে। জলাভূমি কিংবা সবুজ কমে যাওয়ায় ঢাকার কিছু এলাকা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উত্তপ্ত হয়ে পড়ছে।
কেন এমন হচ্ছে তা যাচাই করতে, গাছে ঘেরা শেরে বাংলা নগরের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেটের কাছে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়। সেখানে তাপমাত্রা যখন ৩৫ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময়ে আগাঁরগায়ে ৩৯ আর তেজগাঁয়ে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গ্রিনবুডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার সাঈদ তাসনিম মাহমুদ বলেন, রাজধানীতে সবুজ কমে গিয়ে এখন কংক্রিট বেশি। দিনের বেলা সূর্য কিরণ কংক্রিটের জঞ্জালে শোষিত হয়ে পুরো এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। একই সঙ্গে এবছর দখিণা বাতাসও কম। সবমিলিয়ে এতো তীব্র গরম অনূভুত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বলেন, রাজধানীতে পুকুর-জলাশয় ভরাট করে, গাছ কেটে ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণ করায় গরম বেড়েই চলেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব। এর থেকে বাঁচতে জলাশয়, গাছপালা রক্ষার বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, কংক্রিটের ভবন থেকে তাপ দ্রুত বের না হওয়ায় রাতের বেলাতেও গরমের অনুভূতি থাকছে দিনের মতোই।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী- ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রিকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রিকে মাঝারি ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে বেশি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়।
রোববার (১৬ এপ্রিল) ঢাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলিসিয়াস। এর আগে শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী- ১৯৬০ সালে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। এরপর ১৯৬৫ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
এদিকে তীব্র গরমে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন মাঠ-ঘাটে কাজ করা শ্রমজীবী মানুষ। কাঠফাঁটা রোদে দুর্ভোগ পোহচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরাও।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।