আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত নারীদের অস্থায়ীভাবে বিয়ে করছেন পর্যটকরা। এই বিয়ের আয়ু খুব বেশি হলে ১৫ দিন। বিয়ের চুক্তির পর মোটা অঙ্কের টাকা মেলে নববধূর। কয়েক দিন পর পর্যটক যখন চলে যান, বৈবাহিক সম্পর্কও সেখানেই শেষ। সবটাই হয়ে থাকে উভয় পক্ষের সম্মতিতে।
সম্প্রতি ইন্দোনেশিয়ার গ্রামগুলোতে এমনই এক ধরনের বিবাহের প্রবণতা বাড়ছে। এমনই খবর উঠে এসেছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদনে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে অস্থায়ীভাবে পুরুষ পর্যটককে বিয়ে করছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুবতীরা। অস্থায়ী বিয়েই আপাতত অর্থনৈতিক সংকটে ভোগা ইন্দোনেশিয়ায় নারীদের বেঁচে থাকার উপায়। ইন্দোনেশিয়ার কিছু গ্রামে এ ধরনের বিয়ের প্রচলন রীতিমতো পেশায় পরিণত হয়েছে।
এই প্রথাকে সাধারণত ‘আনন্দ বিবাহ’ বা নিকাহ মুতা’আ বলা হয়। যদি কোনও মহিলা পছন্দ করেন, তবে তিনি বছরে ২০-২৫টি এই ধরণের বিবাহে প্রবেশ করতে পারেন।
দেশের আইন অনুযায়ী, এই প্রথা বেআইনি হলেও এটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। প্রতিবেদন অনুসারে, দরিদ্র পরিবারের তরুণীরা অর্থের বিনিময়ে স্বল্পমেয়াদি বিয়েতে বিশেষ আগ্রহ দেখাচ্ছেন। প্রাথমিকভাবে পশ্চিম এশিয়া থেকে আসা পুরুষ পর্যটকদের সঙ্গে এই ধরনের সম্পর্কে জড়াচ্ছেন নারীরা।
উভয় পক্ষ সম্মত হলে দ্রুত একটি অনাড়ম্বর বিয়ের আয়োজন করা হয়। বিনিময়ে ওই পর্যটক নববধূকে মোটা টাকা দেন। যত দিন এই পর্যটকরা ইন্দোনেশিয়ায় থাকেন, ওই তরুণীকে স্ত্রীর মতো ব্যবহার করেন।
এভাবেই অস্থায়ী বিয়ের মাধ্যমে নিজের খরচ, এমনকি পরিবারের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণীরা।
এই ধরণের বিয়ে বা নিকাহ ইসলামের শিয়া সম্প্রদায়ের মধ্য়ে দেখা যেত। এই প্রথাটি মূলত ইন্দোনেশিয়ার একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র পুনকাক অঞ্চলের লোকেরা পালন করে। এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং আরবি প্রভাবের জন্য পরিচিত। ধর্মীয় ঐতিহ্যের আড়ালে এই প্রথা দুর্বল ও দুস্থ মহিলাদের শোষণ যন্ত্র বলে মনে করা হয়।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে, একজন মহিলা জানিয়েছেন যে, তিনি ১৭ বছর বয়স থেকে মধ্যপ্রাচ্যের পর্যটকদের সাথে কমপক্ষে ১৫ বার বিবাহ করেছেন। তিনি সাধারণত প্রতি বিবাহে ৩০০ থেকে ৫০০ মার্কিন ডলার আয় করেন। এই অর্থেই তিনি ভাড়া পরিশোধ এবংঅসুস্থ ঠাকুরদা ঠাকুমার যত্নেরল জন্য টাকা খরচ করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।