জুমবাংলা ডেস্ক : প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে উইপোকার ঢিবি। আবাসন সংকট, জলবায়ুর পরিবর্তন, বিরূপ আবহাওয়া, নগরায়ণ, ১২ মাস জমিতে কৃষিপণ্য উৎপাদনসহ নানা কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে উইপোকার ঢিবি। কৃষি ও বসতবাড়ির জন্য কিছুটা ক্ষতিকারক হলেও প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় উইপোকার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জ এলাকায় একটি উইপোকার ঢিবির দেখা মিলেছে।
জানা গেছে, উইপোকা নানাভাবে বাসা তৈরি করে। এদের অনেকেই আর্দ্রমাটির নিচে, আবার কেউ কেউ শুকনা মাটির উপরিভাগে বাসা বানায়। উষ্ণ এলাকার অনেক প্রজাতির মূল বাসা থাকে মাটির তলায়, তা অনেক সময় মাটির ওপরে উঠে নানা আকৃতি নেয়। উইপোকার এ ধরনের বাসাকে বলা হয় উইয়ের ঢিবি। প্রজাতি ভেদে ঢিবি হতে পারে বিভিন্ন আকারের, নানা পরিমাপের।
বাসা তৈরির কলাকৌশলও অতি বিচিত্র। একটি কলোনিতে প্রজননের কার্যাদি পালন করে রাজা এবং রানি। সাধারণত একটি বাসায় এদের মাত্র এক জোড়া সদস্য থাকে।
এদের দেহ কাইটিনযুক্ত, গাঢ় রঙের এবং পুঞ্জাক্ষী থাকে। একটি বাসার অধিকাংশ সদস্য শ্রমিক ও সেনা উই। স্ত্রী-পুরুষ উভয় ধরনের উইপোকা থাকলেও তারা বন্ধ্যা, অন্ধ এবং ডানাবিহীন। অনেক প্রজাতিতে একাধিক ধরনের সেনা উই থাকে। তবে একটি বাসায় সেনা উইদের চেয়ে শ্রমিক উইয়ের সংখ্যা সব সময় বেশি থাকে। বাসা নির্মাণ, মেরামত, খাদ্য সংগ্রহ, শাবকদের লালনপালন প্রায় সব ধরনের কাজ করে শ্রমিক উই। সেনা উইদের মাথা অনেক বড় দেখায়। বাসার নিরাপত্তা রক্ষায় তারা বিশেষভাবে দায়িত্ব পালন করে। প্রায় সব প্রজাতির উইপোকাই ক্ষতিকর। বাংলাদেশে এদের লক্ষণীয় ক্ষতির মধ্যে পড়ে বাঁশ এবং কাঠের খুঁটি, আসবাবপত্র, বাড়িঘরের কাঠ বা বাঁশের তৈরি অংশ, পাটশোলার বেড়া, বইপুস্তক, কাপড়-চোপড়, বিভিন্ন ধরনের ফসল ও গাছপালা খেয়ে নষ্ট করে এরা। তবে উপকারী ভূমিকার মধ্যে রয়েছে মরা গাছপালা এবং কাঠের গুঁড়ি খেয়ে তা মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।