জুমবাংলা ডেস্ক : ডেঙ্গু রোগ শনাক্তের জন্য করা হয় এনএস-ওয়ান পরীক্ষা। সাধারণত এই পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও এবার ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। অনেকেই আক্রান্ত হওয়ার পরও এই পরীক্ষায় শনাক্ত হচ্ছে না। ডেঙ্গু শনাক্ত কিটের দুর্বলতা ও ভাইরাসের মিউটেশনের কারণেও এমনটা হতে পারে, বলছেন রোগতত্ত্ববিদেরা।
এ কারণে ডেঙ্গুর লক্ষণ থাকলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
মুগদা হাসপাতালের পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, শুধু উপসর্গ বা লক্ষণের বৈচিত্র্য নয়, এবার ডেঙ্গু এসেছে আরও ভয়াবহ চরিত্র নিয়ে। যার মধ্যে অন্যতম হলো, কারো দেহে ভাইরাস থাকার পরও এনএস-ওয়ান পরীক্ষায় তা শনাক্ত না হওয়া।
তবে কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষায় ডেঙ্গু শনাক্ত না হওয়ার পেছনে মিউটেশন দায়ী কিনা, তা নিয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) কাজ করবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন।
এ বছর বেশিরভাগ ডেঙ্গু রোগী সেরোটাইপ দুইয়ে আক্রান্ত। আর এই ধরনে আক্রান্তদেরই এনএস-ওয়ান পরীক্ষায় ফলস নেগেটিভ রিপোর্ট বেশি হয়।
বিএসএমএমইউয়ের ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী বলেছেন, এনএস-ওয়ান পরীক্ষার কিটের কার্যকারিতা ৭০ থেকে ৮০ ভাগ। তাই আক্রান্ত অনেকের ডেঙ্গু শনাক্ত না হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সে ক্ষেত্রে রোগীর শারীরিক অবস্থা ও লক্ষণ-উপসর্গ নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। না হলে হতে পারে বড় বিপদ।
ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দেওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে এনএস-ওয়ান পরীক্ষা করতে হয়। পাঁচ দিন পর করা যায় অ্যান্টিবডি টেস্ট আইজিজি-আইজিএম। এ ছাড়া সিবিসি পরীক্ষাতেও কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত কিনা, তার ধারণা পাওয়া যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।