আন্তর্জাতিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। এতে দেখা যাচ্ছে দেশের একজন জনপ্রিয় নারী রাজনীতিবিদ তার দত্তক পুত্রের সাথে বিছানায় অপ্রস্তুত শুয়ে আছেন। তারা ভিডিওটি থেকে নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিডিওতে থাকা মহিলাটি আর কেউ নন, ৪৫ বছর বয়সী থাই রাজনীতিবিদ প্রপাপোর্ন চোইওয়াদকো। তিনি যে পালক পুত্রের সাথে বিছানায় ছিলেন তিনি ছিলেন ফ্রা মাহ নামে ২৪ বছর বয়সী এক যুবক সন্ন্যাসী। চমকপ্রদ তথ্য হল, যিনি ভিডিওটি করেছেন তিনি প্রপাপর্ণের স্বামী। এমন অনাকাঙ্ক্ষিত অবস্থায় স্ত্রীকে ধরে ফেলেন তিনি। পরে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন তিনি।
স্বামীর অভিযোগ, তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই প্রপাপর্ণকে তার পালক ছেলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের বিষয়ে সন্দেহ করছেন। পরে সে তাদের হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করেন। শেষ পর্যন্ত, তার অনুমান সঠিক ছিল। বিছানায় একসাথে দুজনকে উলঙ্গ অবস্থায় আবিষ্কার করলেন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, প্রাপাপোর্ন এবং তার স্বামী গত বছর একটি আশ্রম থেকে সন্ন্যাসী ফ্রা মহাকে দত্তক নিয়েছিলেন। কারণ, সে তার স্বামীকে বলেছিল যে প্রপাপোর্ন ফ্রাকে দেখে খুব উত্তেজিত। এবারও হাতেনাতে ধরা পড়ার পর সেই ফারা মাহা পালিয়ে গেল।
এই ঘটনাটি থাইল্যান্ড এবং কিছু প্রতিবেশী দেশের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের একটি বড় ধাক্কা দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে একজন ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, ‘এই খবরটি অনেক কারণেই বিস্ফোরক। এটি একটি সত্যিকারের উপাখ্যানের মতো মনে হচ্ছে। ধনী ব্যক্তিদের জগতটি আকর্ষণীয় এবং বিশৃঙ্খল।’
আরেকজন লিখেছেন, ‘৬৪ বছর বয়সী স্বামী, ৪৫ বছরের স্ত্রী এবং ২৪ বছরের দত্তক পুত্র- কে আবার সন্ন্যাসী! এটা যেমন একটি জগাখিচুড়ি। দত্তক নেওয়ার চেয়ে একটি টয়-বয় নিলেই বরং ভালো হতো। ’
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ভিডিওগ্রাফারকে (স্বামী) একজন বিব্রত প্রপাপোর্ন এবং ফ্রা মাহাকে জিজ্ঞেস করতে দেখা যায়- ‘তোমরা দুজন এখন খুশি?’
প্রপাপোর্ন সে সময় আত্মরক্ষার চেষ্টা করছিলেন এবং দাবি করেছিলেন যে তারা যৌন সম্পর্ক করছেন না, তারা কেবল কথা বলছিলেন।
এদিকে পালক পুত্র ফ্রা মাহাও নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আপত্তিজনক কিছুই হয়নি।’
রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাপাপোর্ন চোইওয়াদকো মধ্য থাইল্যান্ডের সুখোথাই প্রদেশের একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। শুধু তাই নয়, তিনি স্থানীয় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিও। গত বছরের মার্চ থেকে তিনি দেশটির ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন প্রপাপর্ণ। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।