জুমবাংলা ডেস্ক : লালমনিরহাটের পাটগ্রাম থানায় হামলা চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দুই সাজাপ্রাপ্ত চাঁদাবাজকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে ৩২ জনের নামোল্লেখসহ ১০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। এর আগে গত বুধবার রাতে হামলার পরদিন বিশেষ অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন স্থানীয় সিরাজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রশিদ, আবদুল জব্বার টিপুর ছেলে হাবিবুর রহমান, আজিজুল ইসলামের ছেলে মহিদুল ইসলাম এবং মৃত মাহাতাব হোসেনের ছেলে আবুল কালাম। আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের রংপুর রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আমিনুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) এইচএম রকিব হায়দার এবং পুলিশ সুপার (এসপি) তরিকুল ইসলাম বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় বিধ্বস্ত থানা পরিদর্শন করেন।
ডিআইজি আমিনুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘হামলার সঙ্গে যারা জড়িত, তারা যে দলেরই হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, সেগুলো বিশ্লেষণ করে হামলাকারীদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
তিনি জানান, সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ধরতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার পর পাটগ্রামের বিভিন্ন এলাকাসহ থানার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্য। এতে আতঙ্ক আরো বেড়েছে। পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে আশপাশের সব এলাকা। বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।
পাটগ্রাম থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, থানায় হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে মামলা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।