আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত শনিবার সকালে হামাস পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপের সঙ্গে বুলডোজার, গ্লাইডার ও মোটরবাইক নিয়ে ইসরাইলে ঢুকে পড়ে। এটি নিঃসন্দেহে ১৯৭৩ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ইসরাইলের প্রতিরক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় আঘাত। ৫০ বছর আগে সিরিয়া ও মিসর ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালিয়ে পুরো প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করে ফেলেছিল। সেই স্মৃতিই যেন ফিরিয়ে আনল হামাস।
হামাসের আকস্মিক এ হামলায় এখনো ঘোরের মধ্যে আছেন ইসরাইলিরা। হামাসের হামলার ব্যাপকতা যে কতটা বিস্তৃত ছিল, এখন সেটিই ধীরে ধীরে প্রকাশ হচ্ছে, সঙ্গে বাড়ছে ইসরাইলিদের ক্ষোভ।
অনেক ইসরাইলি মনে করছেন, তারা নিজ সরকারের দ্বারাই ধোঁকার শিকার হয়েছেন। কারণ সরকার তাদের একাধিকবার আশ্বস্ত করেছে— গাজা থেকে হামলার কোনো হুমকিই ছিল না।
এর মধ্যে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হামাস গত শনিবার ভয়াবহ এ হামলা চালানোর আগে— এ ব্যাপারে কিছু তথ্য জানতে পেরেছিল মিসর। আর সেসব তথ্য তারা ইসরাইলকে জানিয়েছিল এবং সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছিল। মিসর বলেছিল, ‘গাজায় বড় কোনো কিছু হতে পারে।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার সেগুলো আমলে নেয়নি। যদিও নেতানিয়াহু এ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
তবে মিসরের দেওয়া ওই সতর্কতার আরও কিছু গোপন তথ্য ফাঁস হয়েছে। নতুন তথ্য ফাঁস হওয়ার পর আরও ক্ষুব্ধ হয়েছেন ইসরাইলিরা। তারা এখন নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার সাংবাদিক হুদা আব্দেল হামিদ পূর্ব জেরুজালেম থেকে জানিয়েছেন, এই ইস্যুটা কত দূর যাবে সেটি নিশ্চিত নয়। তবে যুদ্ধের মধ্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি ঐক্য সরকার গঠনের জন্য নেতানিয়াহুর ওপর বিষয়টি চাপ ফেলেছে। কারণ এখন তাকে দেখাতে হবে, এই যুদ্ধের মধ্যে তিনি একটি ঐক্য সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। একটি ঐক্যবদ্ধ দেশকে গাজার বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।