জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাসী শ্রমিকদের ভূমিকা দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। বিদেশে কাজ করে তারা যে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন, তা দেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন। তবে এর মধ্যে কিছু নির্দিষ্ট দেশেই সবচেয়ে বেশি শ্রমিক যাচ্ছেন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বাংলাদেশি শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি যাচ্ছেন সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, ওমান, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায়। এছাড়াও জর্ডান, রোমানিয়া, লেবানন এবং ইতালিতেও শ্রমিক প্রেরণ বেড়েছে।
চলতি বছরের (২০২৫) তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে গেছেন ১ লাখ ২০ হাজার ৮৭৬ জন। গত বছর (২০২৪) গিয়েছিলেন ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৪ জন, আর তার আগের বছর (২০২৩) ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন। এই সংখ্যা থেকেই বোঝা যায়, সৌদি আরব এখনও বাংলাদেশের শ্রমবাজারের সবচেয়ে বড় গন্তব্য।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত গেছেন ১,১৫০ জন, ২০২৪ সালে গিয়েছিলেন ৪৭,১৬৬ জন এবং ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ৯৮,৪২২ জন।
কুয়েতে এ বছর গেছেন ৪,৯৬২ জন। ২০২৪ সালে ৩৩,০৩১ জন এবং ২০২৩ সালে গিয়েছিলেন ৩৬,৫৪৮ জন।
ওমানে এ বছর গেছেন মাত্র ২৪ জন, যেখানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৩ জন, যা প্রমাণ করে গত বছর দেশটি ছিল শ্রমিকদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।
কাতারে চলতি বছরে গেছেন ১৪ হাজার ৩৩ জন, ২০২৪ সালে গিয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৪২২ জন এবং ২০২৩ সালে ৫৬ হাজার ১৪৮ জন।
সিঙ্গাপুরে চলতি বছরে গেছেন ৮,৫৮২ জন, ২০২৪ সালে গিয়েছেন ৫৬,৮৭৮ জন এবং ২০২৩ সালে গিয়েছেন ৫৩,২৬৫ জন। তবে আরেকটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালে সিঙ্গাপুরে গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন শ্রমিক—যা হয়তো ভিন্ন ধরনের কাজ বা অনুমতির আওতায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে অদক্ষ ও আধা-দক্ষ উভয় ধরনের শ্রমিকদের চাহিদা থাকে। বিশেষ করে সৌদি আরব অল্প মজুরিতে বেশি কাজ করাতে আগ্রহী হওয়ায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের ব্যাপকভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়। অনেক বাংলাদেশিই নানা কারণে সৌদি আরবে যেতে পছন্দ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।