জুমবাংলা ডেস্ক : বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে এলেন বর। আবার বিয়ে শেষে স্ত্রীকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ বাড়িতে চলেও গেলেন। এই হেলিকপ্টার বরযাত্রী এবং আত্মীয়-স্বজনের চেয়ে উৎসুক জনগণই ছিল বেশি। ঘটনাটি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার।
শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুর ২টায় কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের এগারো বাড়ির মাঠে অবতরণ করে একটি হেলিকপ্টার। এখান থেকে এই হেলিকপ্টারে বর সেজে বাবা-মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী মান্দ্রা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এসে নামেন বর মোরছালিন হাওলাদার (২৫)।
মোরছালিন হাওলাদার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘলীয়া গ্রামের সিদ্দিক হাওলাদারের ছোট ছেলে। প্রবাসী মোরছালিনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী কালাম শেখের মেয়ে ফারিয়া খাতুনের বিয়ে হয়।
এই বিয়েতে ফারিয়া খাতুনের বাবা ব্যবসায়ী কালাম শেখ আত্মীয়-স্বজনসহ প্রায় হাজার খানেক অতিথিকে দাওয়াত করেছিলেন। মাংস, পোলাও, মাছ, ফিন্নি, দই, মিষ্টিসহ ছিল খাবারের নানা আয়োজন।
বর মোরছালিন হাওলাদারের বড় ভাই আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, আমরা ৫ ভাই মালয়েশিয়া থাকি। এই ৫ ভাইয়ের মধ্যে মোরছালিন সবার ছোট।
বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল তাদের ছোট ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে করে বাড়িতে নিয়ে আসবে। তাই আমরা ৫ ভাই মিলে এই হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেছি।
বর মোরছালিন হাওলাদার বলেন, বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমরা ৫ ভাই মিলে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ৩ ঘণ্টার জন্য একটি হেলিকপ্টার ভাড়া করেছি। এই হেলিকপ্টারে আমার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে আমি কনের বাড়িতে এসেছি। এ জন্য আমার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন সবাই খুশি।
মাত্র ১২ বছর বয়সে শরীরে বড় পরিবর্তন করাল আরাধ্যা! মা ঐশ্বর্য কি রাজি ছিলেন?
কনের বাবা কালাম শেখ বলেন, একই এলাকায় আমি আমার মেয়ে ফারিয়া খাতুনকে বিয়ে দিয়েছি। আমার জামাই তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে আমাদের এখানে আসে। এই হেলিকপ্টার ওঠা-নামা দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেছিল। আমি আমার মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সবার কাছে দোয়া চাই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।