বিনোদন ডেস্ক : গেল কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘দ্য শেমলেস’ ছবির জন্য ‘আন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন কলকাতার মেয়ে অনসূয়া সেনগুপ্ত। সেই ছবিতে অনুসূয়ার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন আরেক বাঙালি অভিনেত্রী অরোশিখা দে।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র জীবনের পা রাখার কঠিন লড়াই নিয়ে কথা বলেন অরোশিখা। বলিউডে নিজেকে কতটা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলেন, মুম্বাই শহর থেকে কী পেলেন, তার সব অকপটে শিকার করেন অভিনেত্রী।
অনসূয়ার সাফল্য দেখে নিজের অনুভূতিও ব্যক্ত করেন অরোশিখা। তার কথায়, ‘অনসূয়ার সাফল্য দেখে ভাল লাগছে, একটা ভাল কাজ সব সময়ই প্রশংসার দাবি রাখে। অনসূয়া তার কাজের জন্য যে একা প্রশংসা পাচ্ছে, তেমনটা নয়। আমরাও প্রশংসিত হচ্ছি। ছবিটাকে নিয়ে কথা হচ্ছে। তাই এই পুরস্কারটা অনসূয়ার একার নয়, গোটা ছবির।’
বিদেশের মাটিতে চলচ্চিত্র ‘দ্য শেমলেস’ সম্মানিত হওয়ায় বিষয়টি সবার জন্য গর্বের বলে উল্লেখ করেন অভিনেত্রী। তার ভাষ্য, ‘যে কোনো সম্মানই খুব দরকার। সেটা দেশে হোক কিংবা বিদেশে। আর কানের মতো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মান পাওয়া সত্যিই গর্বের। কোনও ইন্ডিপেন্ডেন্ট ছবি বড় কোনও মঞ্চে সম্মানিত হলে ছবিটার সঙ্গে তার কলাকুশলীরাও তাদের কাঙ্ক্ষিত সম্মান পান।’
সিনেমার ক্ষেত্রে শরীর প্রদর্শনে কোনও ছুতমার্গ রয়েছে কী না, এমন প্রশ্নের জবাবে অরোশিখা বলেন, ‘অভিনয়শিল্পী হিসেবে আমার কোনো ছুতমার্গ নেই; সিনেমার প্রয়োজনে আমার অসুবিধা নেই। তবে দর্শক টানার জন্য শরীর দেখাতে হলে আমার আপত্তি রয়েছে। বাইরে থেকে হয়তো এই ধরনের দৃশ্য উত্তেজক মনে হয়। কিন্তু, বাস্তবে এই ধরনের দৃশ্যে কাজ করা ভীষণ ক্লান্তিকর।’
২০০৭ সাল থেকে মুম্বাইয়ে হিন্দি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন বাঙালি অভিনেত্রী অরোশিখা। ‘দ্য শেমলেস’ ছবিতে অভিনয় করে কান উৎসব থেকেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে নতুন করে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।
অরোশিখা কলকাতার বাসিন্দা নন। তার জন্ম আসামে। কর্মস্থান মুম্বাই। এই অভিনেত্রীর অনুপ্রেরণা কঙ্কনা সেনশর্মা। ভবিষ্যতে তার পরিচালনায় আসার ইচ্ছে আছে অরোশিখার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।