বিনোদন ডেস্ক : শোবিজ ইন্ডাস্ট্রির অন্ধকার দিক উন্মোচন করেছেন নাদিয়া হুসেন খান। পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমন কিছু ‘অস্বস্তিকর সত্য’ প্রকাশ করেছেন, যা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা এই অভিনেত্রী, মডেল, ব্যবসায়ী ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর ওই সাক্ষাৎকারে বিনোদন জগতের নেপথ্যে ঘটে যাওয়া শোষণ ও অনৈতিক কাজের বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন।
নাদিয়া হুসেন জানান, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা, বিশেষ করে পুরুষরা কমবয়সি ও নতুন অভিনেত্রী ও মডেলদের কাছ থেকে কাজের বিনিময়ে অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত চাহিদা দাবি করে থাকেন।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের পরিস্থিতি বিশেষ করে সেইসব তরুণীদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে, যারা কাজ পাওয়ার জন্য মরিয়া।
৩৬ বছর বয়সি এই মডেল অভিনেত্রী তার প্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার থাকা সত্ত্বেও একাধিকবার এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন বলেও স্বীকার করেছেন।
তিনি এ সময় তার জীবনের একটি ঘটনার কথা শেয়ার করেন। যেখানে তাকে একটি শোয়ের হোস্টিংয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তার বদলে তাকে একটি ‘স্পেশাল ডিনারে’ অংশ নেওয়ার শর্ত রাখা হয়েছিল। তবে তিনি সেই অফারটি প্রত্যাখ্যান করেন এবং হোস্টিংয়ের সুযোগটি ছেড়ে দেন।
তিনি একটা পরিষ্কার সীমা বজায় রাখার বিষয়ে তার ব্যক্তিগত অবস্থান তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে যারা এ ধরনের চাপের মুখে কাজ করে ক্যারিয়ার এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন।
নাদিয়া হুসেন জানান, তিনি এমন অনেক নারীকেই চেনেন, যারা এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এটি তাদের ব্যক্তিগত পছন্দ হওয়ায় তিনি তাদের এড়িয়ে যান।
এমনকি বিবাহিত ব্যক্তিরাও এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত করে উল্লেখ করেন নাদিয়া। তিনি বলেন, তাদের এ ধরনের ভূমিকা প্রায়ই ধরা পড়ে না। কারণ তাদের প্রতি সন্দেহ কম থাকে।
তবে এই সমস্যাগুলো শুধু শোবিজেই সীমাবদ্ধ নয়; অন্যান্য শিল্পেও এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটে বলেও দাবি করেন এই অভিনেত্রী। সূত্র: দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।