লাইফস্টাইল ডেস্ক : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলেও পাক ধরতে শুরু করে। কিন্তু সময় থাকতেই যদি সঠিক উপায় মেনে চুলের যত্ন নেওয়া শুরু করেন, তাহলে এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে কুচকুচে কালো চুল পেতে আপনাকে কী কী করতে হবে জেনে নিন।
প্রকৃতির নিয়মে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে প্রকট হয় বার্ধক্যের ছাপ। তাই চুলেও পাক ধরতে শুরু করে। তাই চুলের কুচকুচে কালো ভাব ধরে রাখতে বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সেই নিয়ম মেনে যদি চলতে পারেন, তাহলে চুলের কালো ভাবও বজায় থাকবে। তাহলে আর দেরি না করে ঝটপট জেনে নিন কোন কোন নিয়ম মেনে চললে বয়স বাড়লেও চুলের কালো ভাব বজায় থাকবে।
চুলের ফলিকলে বহু পিগমেন্ট কোষ থাকে, যেগুলি আপনার চুলের প্রাকৃতিক রং ধরে রাখতে সাহায্য় করে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এই পিগমেন্ট কোষগুলি নষ্ট হতে শুরু করে এবং তার ফলে চুলের রংও হারিয়ে যায়। তখনই আপনার কালো চুল সাদা হয়ে যায়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, সময়ের আগেই চুলে পাক ধরেছে। এটাকেই প্রিম্যাচিওর হেয়ার গ্রেয়িং বা চুলের অকালপক্কতা বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
হেয়ার গ্রেয়িংয়ের জন্যে বিভিন্ন কারণকে দায়ী করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্য়ে অন্যতম হল জিনগত কারণ। তবে এর পাশাপাশি আরও কিছু কারণ রয়েছে, যা চুলের অকালপক্কতার জন্যে দায়ী। যেমন পর্যাপ্ত পুষ্টির অভাব, খারাপ লাইফস্টাইল এবং অত্যাধিক দুশ্চিন্তা। তাই এসব সমস্যা যদি আপনি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন, তাহলে চুলের অকালপক্কতাও রুখে দিতে পারবেন বৈকি!
একাধিক গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, শরীরে ভিটামিন বি৬, বি-১২, বায়োটিন, ভিটামিন ডি এবং ই-এর ঘাটতির কারণে চুলে পাক ধরতে পারে।
২০১৫ সালের একটি রিপোর্টে দেখা যায় যে, শরীরে ভিটামিন ডি৩, বি১২, ক্যালশিয়াম ও কপারের ঘাটতি হলে চুল অসময়েই সাদা হয়ে যেতে পারে। তাহলে আপনাকে এমন খাবার খেতে হবে, যা আপনার শরীরে এইসব উপাদানের ঘাটতি মেটাতে পারে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার, যেমন – পালং শাক, বিট, লাল শাক এবং মাংস নিয়মিত খেতে হবে আপনাকে। সেই সঙ্গে দুধ, ডিম, মাছ, কুমড়োর বীজ, সয়াবিন এবং অন্যান্য় পুষ্টিকর খাবারও পাতে রাখতে হবে।
পাশাপাশি আপনি ভরসা রাখতে পারেন ডার্ক চকোলেটও। তবে কোনও খাবারই অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন না। পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করলেই উপকার মিলবে, এক্ষেত্রে আপনি প্রয়োজনে পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন।
পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাওয়ার পাশাপাশি আপনাকে একটি স্বাস্থ্যকর জীবনশৈলী মেনে চলতে হবে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে এবং ৩ লিটার জলপান করতে হবে। এর পাশাপাশি দুশ্চিন্তায় লাগাম পরাতে ভুলবেন না। মানসিক চাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত যোগাসনও করতে পারেন। এছাড়া প্রতিদিন মাত্র ৩০ মিনিট ব্যায়ামও করতে পারেন আপনি। তাহলেই মিলবে উপকার।
প্রসঙ্গত, আপনার চুলে পাক ধরার অন্যতম কারণ যদি জিনগত হয়, তাহলে এই নিয়ম মেনে চললে উপকার নাও পেতে পারেন আপনি। সেক্ষেত্রে আপনি কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।