বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক : গত বছর সমুদ্রের তলদেশে এমন এক উপাদানের খোঁজ মেলে, যা ওই উল্কার অংশ বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। আর একে ‘এলিয়েনদের প্রযুক্তি’র জলজ্যান্ত প্রমাণ বলেও দাবি করা হয় সে সময়।
এলিয়েনের সংকেত হিসেবে ধারণা করা এক শব্দের উৎস ছিল মূলত চলমান এক ট্রাক, এমনই দাবি বিজ্ঞানীদের।
এর আগে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ভেদ করে একটি উল্কা আছড়ে পড়েছিল প্রশান্ত মহাসাগরে। এর পর গত বছর সমুদ্রের তলদেশে এমন এক উপাদানের খোঁজ মেলে, যা ওই উল্কার অংশ বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের। আর একে ‘এলিয়েনদের প্রযুক্তি’র জলজ্যান্ত প্রমাণ বলেও দাবি করা হয় সে সময়।
তত্ত্বটির পেছনে আংশিকভাবে কাজ করেছে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপ রাষ্ট্র পাপুয়া নিউ গিনি’র এক ভূকম্পন পরিমাপ স্টেশন একটি কম্পন রেকর্ড করার বিষয়টি। এর থেকে ইঙ্গিত মেলে, এর কাছাকাছি কোনও জায়গায় সম্ভবত ওই উল্কার অবশিষ্টাংশ আছড়ে পড়েছিল।
তবে এখন বিজ্ঞানীরা বলছেন, সেই কম্পনের রেকর্ড আসলে এসেছে চলমান ট্রাক থেকে। ঠিক যেমন সমুদ্র থেকে পাওয়া উপাদান সম্ভবত উল্কা থেকে আসেনি, এলিয়েন প্রযুক্তি তো দূরের কথা।
“সংকেতটি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর গতিবিধি পরিবর্তন করে, যা সিসমোমিটারের পাশ দিয়ে যাওয়া কোনও রাস্তার সঙ্গে হুবহু মিলে যায়” বলেছেন এ গবেষণার প্রধান লেখক ও ‘জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি’র ‘প্ল্যানেটারি সিসমোলজিস্ট’ বা ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ বেঞ্জামিন ফার্নান্দো।
“সংকেত থেকে এলিয়েনের সম্ভাব্য অস্তিত্ব নিশ্চিত করা সত্যিই জটিল বিষয়।”
“তবে আমরা এ ধরনের বিভিন্ন সংকেত দেখাতে পারি, যেগুলোর বৈশিষ্ট্য থেকে ধারণা মেলে, এ ধরনের সংকেত ট্রাক বা উল্কা থেকেও আসতে পারে। আবার এদের কোনটাই না-ও হতে পারে।”
উল্কাটি আসলে অন্য কোনো জায়গা দিয়ে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছিল। আর এর বিপরীতে কোনও নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নেই বলে দাবি গবেষকদের।
“সমুদ্রের যে জায়গা থেকে তথাকথিত উল্কাখণ্ড উদ্ধার হয়েছিল, সেখান থেকে উল্কাটির অবস্থান অনেক দূরে ছিল,” বলেন ফার্নান্দো।
“আর এখানে কেবল ভুল সংকেতই ব্যবহার করা হয়নি, বরং ভুল জায়গায় এর খোঁজ চলছিল।”
গবেষকরা বলেছেন, সমুদ্রের তলদেশ থেকে উদ্ধার করা এ উপাদানের আকার সাধারণ উল্কার থেকে সম্ভবত বেশ ছোট।
“সমুদ্রের তলদেশে যা পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে এই উল্কার কোনও যোগসূত্র মেলেনি। তবে, এটি একটি সহজাত মহাকাশ শিলা বা এলিয়েন মহাকাশযানের অংশ যাই হোক না কেন, এটা যে এলিয়েন না তা প্রায় নিশ্চিত।”- এক বিবৃতিতে বলেন ফার্নান্দো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।