আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি দুজনেই দেশের শ্রেষ্ঠতম উদ্যোগপতি। দুজনেই দেশের ধনীতম ব্যক্তি। আদানি এবং আম্বানি দুজনের মোট আয়ের পরিমাণ জানলে চমকে উঠবেন। কিন্তু, জানেন কি বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণ করার ক্ষেত্রেও এগিয়ে দুজনেই৷ দেশে যদি ৫ মার্কিন ডলার ঋণ নেওয়া হয়ে থাকে, তার মধ্যে অন্তত ১ ডলার ঋণ নিয়ে থাকেন আদানি-আম্বানি।
মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি ভারতের দুই শ্রেষ্ঠ ধনকুবের। এই দুজনের সম্মিলিত আয় ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চেয়েও বেশি। তাঁদের কোম্পানির মোট রোজগার ৩৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। যা ৪২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমান। কিন্তু, জানেন কি, দেশের মোট বৈদেশিক ঋণের এক বিরাট অংশ এই দুজনে নিয়ে থাকেন।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (Reserve Bank of India) বা RBI এর রিপোর্টে এমনটা জানা গিয়েছে৷ বিদেশ থেকে যদি ৫ ডলার দেশে ঋণ হিসাবে নেওয়া থাকে তবে তার মধ্যে অন্তত ১ ডলার আদানি-আম্বানি নিয়ে থাকেন। এই সমীক্ষার ফল বাইরে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে আর্থিক মহলে।
ভারতের বিভিন্ন কোম্পানির বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া ঋণের পরিমাণ হল ৩৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই ৩৮.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধ্যে আদানি-আম্বানির তৈরি করা কোম্পানিগুলোর নেওয়া ঋণের পরিমাণ ৮.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
RBI এর এই সমীক্ষা অনুযায়ী বলা যায়, মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আমদানি দেশের ধনীতম ব্যক্তি৷ আবার একইসঙ্গে বলা যেতে পারে, তাঁরা দুজনেরই দেনা আকাশছোঁয়া। দেশের সবথেকে বেশি ঋণ গ্রহণকারী ব্যক্তিও দুজনে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এত বেশি বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিয়ে থাকেন মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি? তার একটা বড় কারণ বৈদেশিক মুদ্রায় নেওয়া যে ঋণ, যাঁকে আমরা এক্সটারনাল কমার্শিয়াল বরোয়িনং ( External Commercial Borrowing) বলে থাকি– সেই External Commercial Borrowing বা ECB এর সুদের হার বেশ কম। বিশেষত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন প্রভৃতি দেশের ব্যাঙ্কগুলো থেকে নেওয়া সুদের হারের রেট বেশ কম। তাই বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নিতে পছন্দ করে থাকেন মুকেশ আম্বানি এবং গৌতম আদানি।
যদিও এই সুদের হার আর অল্প থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক স্তরে যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে শীঘ্রই মন্দা তৈরি হতে পারে। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরে ব্যাঙ্কগুলো বড় সুদের হার বৃদ্ধি করতে পারে ব্যাঙ্কগুলো। সেক্ষেত্রে ঋণ নেওয়ার পরিমাণ হয়ত কমতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।