জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা-যশোর রেলপথের ভাঙ্গা পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনের মতো পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করছে। তবে ভাঙ্গা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর অংশের রেলপথ নির্মাণের কাজও সমাপ্তির পথে।
রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে ভাঙ্গা থেকে লোহাগড়া-নড়াইল-রূপদিয়া হয়ে যশোরের উদ্দেশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলছে।
এরআগে গতকাল শনিবার সকাল ৮.৪১ মিনিটে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন থেকে যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে প্রথমবারের ট্রায়াল ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে ।
এই রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল বিষয়ে সেনাবাহিনীর কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন ও কনসালট্যান্ট (সিএসসি) বিভাগের পক্ষে সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩০ ও ৩১ মার্চ ভাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে রূপদিয়া রেলস্টেশন পর্যন্ত ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করবে। রেল লাইনে সর্ব সাধারণের চলাচলের সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তিটি সংশ্লিষ্ট এলাকার জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান-চায়না রেলওয়ে গ্রুপ’ (সিআরইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথে ভাঙ্গা-কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্ম বিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন থাকছে। এ ছাড়া নগরকান্দা-মুকসুদপুর-মহেশপুর-লোহাগড়া-নড়াইল এবং যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়াতে রেলস্টেশন হয়েছে। ঢাকা থেকে লোহাগড়া রেলস্টেশনের দূরত্ব ১২৩ কিলোমিটার ও নড়াইলের দূরত্ব ১৩৮ কিলোমিটার। ভাঙ্গা থেকে যশোর এই অংশের দৈর্ঘ্য ৮৬ কিলোমিটার। প্রকল্পটি শেষের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। ২০১৯ অনুমোদনের সময়ে পুরো প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি টাকা। বর্তমানে এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবু ইউছুফ মো. শামীম বলেন, ভাঙ্গা-লোহাগড়া-নড়াইল-যশোর অংশের নির্মাণ কাজ শেষের পথে। কাজের অংশ হিসেবে এই দুদিন ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত বিভিন্ন গতিতে ট্রেন চালিয়ে নির্মাণ অবস্থা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আগামী জুনের মধ্যেই আশা করা যাচ্ছে এ রুটে ট্রেন চলবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।