জুমবাংলা ডেস্ক : কক্সবাজারে শহরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার পর থেকেই দুই ছেলেসহ বাবার খোঁজ করছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হোটেল মোটেল জোনের কলাতলী এলাকার ‘সী আলিফ’-এর ৪১১ নম্বর কক্ষের বিছানা থেকে দেড় বছর বয়সী এক কন্যার এবং মেঝে থেকে ওই শিশুর মায়ের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত নারীর নাম সুমা দে (৩৫)। তিনি চট্টগ্রাম জেলার বাশখালী উপজেলার নাথপুরা গ্রামের শচিন্দ্র দের মেয়ে। তিনি একই উপজেলার বানীগ্রামের বৈলগাও দীনেশ চন্দ্র মহাজান বাড়ির জেবিন দে (৪২) এর স্ত্রী। নিহত শিশুকন্যার নাম এখনো জানা সম্ভব হয়নি। সী আলিফ হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার ইসমাইল বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন জেবিন ও সুমা দে দম্পত্তি। তারা ঠিকানা উল্লেখ করেছিলেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকায়। ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের রুম ছাড়ার কথা ছিল। সেই হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টায় কর্মচারী শাখাওয়াত ওই রুমে গিয়ে দেখেন স্ত্রী ও এক শিশুর মরদেহ পড়ে রয়েছে।
কর্মচারী শাখাওয়াত জানান, সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া না যাওয়ায় ওই রুমে গিয়ে কয়েকবার ডাকি। কিন্তু ভেতর থেকে সাড়া পাওয়া না যাওয়া পরে ম্যানেজারের নির্দেশে মাস্টার কি (অতিরিক্ত চাবি) দিয়ে তালা খুলে দেখি নারী ও শিশুর মরদেহ পড়ে রয়েছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, জেবিন ও সুমা দে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তিন সন্তান নিয়ে সী আলিফের ৪১১ নাম্বার কক্ষে উঠেছিলেন। হোটেল কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও স্বামী এবং বাকি দুই সন্তান লাপাত্তা।কক্সবাজার সদর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বাঁশখালীতে পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।