জুমবাংলা ডেস্ক : সুনামগঞ্জে বন্যার পানির জন্য কবর দেওয়ার জায়াগা না পেয়ে লাশ কফিনবন্দি করে বেঁধে রাখা হয়েছে।
গত ১৬ জুন উজানের ঢল ও প্রবল বর্ষণে সুনামগঞ্জ শহরসহ প্রতিটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এরপর বাড়ি-ঘরসহ জনপদে প্রবেশ করতে থাকে পানি। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ আকার ধারণ করে যে, কবরস্থান-শ্মশানসহ একতলা ঘরবাড়ি মুহূর্তেই পানিতে ডুবে যায়।
এর মধ্যে গত ১৭ জুন সুরমা ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামের শিল্পী আশরাফ আলী মারা যান। পানিতে তার জানাজা পড়া সম্ভব হলেও দাফন করা যায়নি। কারণ, গ্রামের সবগুলো কবরস্থান পানির নিচে। উপায় না পেয়ে লাশে পলিথিন মুড়িয়ে কাঠের কফিনে ঢুকিয়ে বেঁধে রাখা হয় কবরস্থানে।
এমন পরিস্থিতিতে পড়েছে একই গ্রামের সাজু মিয়ার পরিবার। সাজু মিয়াও (৭০) মারা যান একই দিন। তার মরদেহও বেঁধে রাখা হয়েছে একই কবরস্থানে।
জানা গেছে, বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে এমন খবর পেয়ে গত ১৭ জুন ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেন সাজু মিয়া। পথে ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে বন্যার পানিতে আটকে যায় তাদের গাড়ি। সেখানেই রাস্তায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন সাজু মিয়া।
মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এক সিএনজি চালকের মাধ্যমে বাড়িতে খবর পাঠানো হয়। পরে মেয়ের জামাতা নৌকা যোগে শ্বশুরের লাশ নিয়ে যান গ্রামে। এখন পাশাপাশি কফিনবন্দি হয়ে পড়ে আছে সাজু মিয়া ও আশরাফ আলীর লাশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।