জুমবাংলা ডেস্ক : মা-বাবার সঙ্গে ঢাকায় থাকত অন্তরা আক্তার (১৫)। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে বেড়াতে এসেছিল দশম শ্রেণির এ ছাত্রী। গ্রামে আসার ৭ দিনের মাথায় তার লাশ পাওয়া গেল ঘরের আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায়।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, অন্তরার বাবা জসিম উদ্দিন ও মা নাসিমা খাতুন ঢাকায় চাকরি করেন। সেই সূত্রে তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। মেয়ে অন্তরা আক্তার রাজধানীর তেজগাঁও মডেল হাই স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়ত।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বার্ষিক পরীক্ষা শেষে সপ্তাহখানেক আগে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামে বেড়াতে আসে অন্তরা। বাড়িতে এসে একাই থাকত ঘরে। নিজেই রান্না করে খেত।
অন্তরার চাচাতো বোন লিজা জানান, এর মধ্যে অন্তরার মা বাড়িতে এসে অন্তরাকে নিতে চাইলেও সে যায়নি। বাড়িতে থাকা অবস্থায় সব সময় সে সাজত ও মোবাইলে গান শুনত। প্রায় প্রতিদিনই ঢাকা থেকে মা-বাবা ফোন করে খোঁজখবর নিতেন।
তিনি জানান, গত রবিবার সন্ধ্যার পর থেকে অন্তরার নম্বরে ফোন দিয়ে বন্ধ পেলে বাড়ির অন্য এক নম্বরে ফোন করে ঘটনা অবহিত করেন তার মা। পরে অন্তরার সন্ধান করে দেখা যায় ঘরের একটি কক্ষের দরজা বন্ধ। এ সময় টিনশেড ঘরের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় অন্তরা ঘরের আড়ার সাথে ঝুলছে।
এ সময় তারা চিৎকার করলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে আনুমানিক রাত সাড়ে ১০টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
অন্তরার বাবা জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘অন্তরা এক বছর ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিল। বেশ কয়েকবার ডাক্তার দেখানো হয়েছিল। কিন্তু অবস্থার উন্নতি হয়নি।’
তিনি জানান, অসুস্থ হওয়ার পর থেকে কেন জানি অন্তরা তার মা নাসিমা খাতুনকে সহ্য করতে পারত না। তবে অন্তরার মা নাসিমা খাতুন মেয়ের এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না। অন্তরার মৃত্যুতে সন্দেহ রয়েছে বলে দাবি তার মায়ের।
এ ব্যাপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।