স্পোর্টস ডেস্ক : ক্যারিয়ারের একেবারে শেষ প্রান্তে এসে খুব বাজেভাবেই ফেঁসে গেছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ডিফেন্ডার দানি আলভেস। ধর্ষণের অভিযোগে এমনিতেই ১১ মাস যাবত কারাবন্দী অবস্থায় আছেন তিনি। এবার এই সেলেসাও ফুটবলার বড় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন। আলভেসের জন্যে নয় বছরের কারাবাস দাবি করেছেন প্রতিপক্ষ আইনজীবী। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণ বাবদ দাবি করা হয়েছে দেড় লাখ ইউরো।
গত বছর বার্সেলোনার এক নৈশ ক্লাবে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে আলভেসের ওপর। সেটার মামলায় গত জানুয়ারিতে তাকে স্পেনে গ্রেপ্তার করা হয়। যে মামলা এখনও বহাল রয়েছে। যার কারণে আলভেস বার্সেলোনার এক জেলে আটক আছেন। যদিও আলভেস শুরুতে তরুণীকে চিনেন না বলে দাবি করলেও পরবর্তীতে স্বীকার করেন, যা হয়েছে উভয়ের সম্মতিতেই।
প্রথম সাক্ষাৎকারে স্প্যানিশ টিভি চ্যানেল ‘অ্যান্টেনা থ্রি’কে আলভেজ বলেছিলেন, ‘কাউকে বিরক্ত না করেই আমি নাচছিলাম এবং ভালোই লাগছিল। জানি না সে কে ছিল? একজন নারীর সঙ্গে আমি এটা কীভাবে করতে পারি।’
তবে গত জুনে আরেক সাক্ষাৎকারে আলভেস বলেছিলেন, ‘সাটন নৈশ ক্লাবে সেদিন রাতে বাথরুমে যা ঘটেছিল তা নিয়ে আমি বিবেকের কাছে পরিষ্কার। যেটা ঘটেনি তা হলো, আমি সেই নারীর সঙ্গে জোর করে কিছু করেছি।’
সাটন নৈশ ক্লাবে সেদিন যা যা ঘটেছিল তা নিয়ে অভিযোগপত্রে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন কৌঁসুলিরা। তাদের ভাষ্য অনুযায়ী, নৈশ ক্লাবে সেই নারীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তাকে ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে যান আলভেস। সেই নারী দাবি করেছিলেন, তিনি জানতেন না ওটা টয়লেট ছিল।
কক্ষের ভেতরে ঢোকার পরই আলভেসের আচরণে পরিবর্তন আসে। পরে ওই নারী বাধা দিলেও তার সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছেন বলে দাবি করা হয় অভিযোগপত্রে।
গত বছর এ নিয়ে পাস হওয়া স্পেনের আইন অনুযায়ী, ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৫ বছরের কারাবাসের শাস্তিও হতে পারে। যেখানে আলভেজের জন্য চাওয়া হয়েছে নয় বছরের শাস্তি।
এদিকে এই ঘটনায় সব হারিয়েছেন আলভেস। স্পনসর বাতিল, ম্যাক্সিকাম ক্লাব পুমার সঙ্গে চুক্তি ভেঙে যাওয়াসহ স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ। সব মিলিয়ে দুঃসময় পার করছেন ৪০ বছর বয়সী এই তারকা ফুটবলার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।