Close Menu
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
Bangla news
Home এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের ভয়ঙ্কর ৩২ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা
জাতীয়

এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের ভয়ঙ্কর ৩২ দিনের শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা

Tarek HasanApril 18, 20248 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : মেশিন গান, রকেট লঞ্চার এম-১৬ রাইফেল। ভারি যুদ্ধাস্ত্র নিয়ে সার্বক্ষণিক পাহারায় থাকতো সোমালি নৌদস্যুরা। কথায় কথায় মাথায় অস্ত্র ঠেকানো হতো। প্রতিটি ক্ষণ কাটতো চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা আর আতঙ্কে। জীবন নিয়ে ফিরতে পারবো কী না তা নিয়ে ছিল চরম অনিশ্চয়তা। অস্ত্রের বহর দেখে মনে হয়েছে, যেন যুদ্ধক্ষেত্র। এভাবে সোমালিয়া উপকূলে জিম্মিদশার বর্ণনা দেন মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কয়েক জন নাবিক।

শ্বাসরুদ্ধকর বর্ণনা
ছবি: সংগৃহীত

টানা ৩২ দিন জিম্মি করে রাখার পর গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের কেএসআরএম গ্রুপের ওই জাহাজটি থেকে নেমে যায় সোমালিয়ার নৌদস্যুরা। জিম্মিদশার শুরু থেকে মুক্তি পর্যন্ত সবকিছুই ঘটে জাহাজের মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আবদুর রশিদসহ অন্যদের চোখের সামনে। তারা এখন জাহাজে বসে পরিবারের সদস্য এবং স্বজনদের দুর্বিষহ ওই জিম্মিদশার বর্ণনা দিচ্ছেন। কয়েক জন নাবিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জিম্মি সময়ের ভয়ঙ্কর চিত্র পাওয়া গেছে।

এদিকে গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) জাহাজটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা অতিক্রম করে গেছে । দুবাইমুখী জাহাজটির পাশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ ছিল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জাহাজটি নিরাপদ জোন হয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল। আগামী ২২ এপ্রিল দুপুরের মধ্যে জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাতে পারে বলে জানান জাহাজে থাকা নাবিকেরা। জানা গেছে, সেখানে কয়লা খালাসের পর নাবিকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। নাবিকদের বেশির ভাগ জাহাজযোগেই দেশে ফিরতে চান। কয়েক জন বিমানে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন কেএসআরএম এর কর্মকর্তারা।

যেভাবে কেটেছে ৩২ দিন

   

১২ মার্চের সকাল। ২৩ বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ ভারত মহাসাগরে ছুটে চলছিল। মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে কয়লা বোঝাই করে সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর হয়ে যাচ্ছে জাহাজ। একটু পরই জাহাজের তৃতীয় কর্মকর্তা দেখেন জাহাজের ডান পাশে অনেক দূরে একটি ফিশিং বোট। ফিশিং বোটটি দৃশ্যমান হওয়ার পর জাহাজটি বাঁয়ে ঘুরিয়ে দেন ক্যাপ্টেন। যাতে ব্যবধান বেড়ে যায়। নৌযানটি পর্যবেক্ষণ করতেই হঠাৎ দেখা যায়, নৌযানটি থেকে একটি স্পিডবোট সাগরে ভাসানো হয়েছে। তখনই তারা নিশ্চিত হয়ে যান, নৌদস্যুরা আসছে।

স্পিডবোট দ্রুতগতিত জাহাজের দিকে আসতে থাকে। এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে কয়লা বোঝাই থাকায় গতি ছিল কম। ঘণ্টায় সাড়ে ১০ নটিক্যাল মাইল।

স্পিডবোটটি কাছাকাছি চলে আসার পর একবার ঢেউ সৃষ্টি করে দস্যুদের নৌকা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। উচ্চচাপে পানি ছিটানো হয়। আবার ডানে-বাঁয়ে জাহাজ ঘুরিয়ে স্পিডবোটটির গতি কমানোর চেষ্টা করা হয় ।

একই সময়ে জরুরি বার্তার বাটনে চাপ দেন ক্যাপ্টেন। ইউকে এমটিওতে (যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন) যোগাযোগ করেন। তবে সেখানে কেউ ফোন ধরেননি। সে সময় ভিএইচএফে (বেতার) যোগাযোগ করে কাছাকাছি কোনো যুদ্ধজাহাজও পাওয়া যায় নি । কিছুটা হতাশ হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন।

দস্যুরা উঠে যাবে জেনে শেষ চেষ্টা ছিল জাহাজের সিটাডেলে (সুরক্ষিত কক্ষ) আশ্রয় নেয়া। মোট ২৩ জন নাবিকের মধ্যে ২০ জনকে সিটাডেলে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। সিটাডেলে যাওয়ার আগে বেশ কিছু কাজ করতে হয়। ইঞ্জিন বন্ধ করার জন্য চতুর্থ প্রকৌশলী ইঞ্জিনকক্ষের দিকে দৌঁড়ে যেতে থাকেন। দ্বিতীয় কর্মকর্তা ব্রিজে এবং ক্যাপ্টেন ব্রিজের নিচের ডেকে থেকে সিটাডেলে যাওয়ার শেষ প্রস্তুতি নেন।

তবে চারজন নৌদস্যু অস্বাভাবিক দ্রুততায় ব্রিজে উঠে প্রথমে দ্বিতীয় কর্মকর্তার মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ‘মাস্টার মাস্টার’ বলে ক্যাপ্টেনকে খুঁজতে থাকে। দ্বিতীয় কর্মকর্তা ভয় পেয়ে যান। প্রাণহানির শঙ্কায় ক্যাপ্টেন দ্রুত সেখানে ছুটি গিয়ে হাত তুলেন। তখনই নৌদস্যুরা ‘অল ক্রু’ বলে চিৎকার করতে থাকে। এরপরই সব নাবিককে ব্রিজে চলে আসার নির্দেশ দেন তিনি। শুরুতে ভয় পেয়ে যান নাবিকেরা। সেখানকার সময় সকাল ১০টা ৬ মিনিট থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে যায়। নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর নৌদস্যুরা জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করার কথা বলে। সে অনুযায়ী ইঞ্জিন বন্ধ করার পর মাছ ধরার নৌযানটি জাহাজের সঙ্গে বাঁধা হয়। ওই নৌযানে একজন পাকিস্তানি এবং বাকিরা ছিলেন ইরানের জেলে। জাহাজ থেকে নৌযানটিতে তেল দেয়ার নির্দেশ দেয় নৌদস্যুরা। তেল দেয়ার পরই দস্যুরা নৌযানটি ছেড়ে দেয়। নৌযানে থাকা সব দস্যু জাহাজে ওঠে। মোট ১২ জন সশস্ত্র নৌদস্যু জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এসময় আনন্দে তারা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। নাবিকদের কাছ থেকে মুঠোফোন কেড়ে নেয় তারা। তবে ল্যাপটপ ও কয়েকটি মুঠোফোন লুকিয়ে রাখেন নাবিকেরা।

মাছ ধরার নৌযানটি চলে যাওয়ার পর এমভি আবদুল্লাহর ইঞ্জিন চালু করা হয়। সোমালিয়ার উপকূলের দিকে যাওয়ার নির্দেশনা দেয় নৌদস্যুরা। সে সময় একজন দস্যু একটি নম্বরে যোগাযোগ করতে বলে। ক্যাপ্টেন কল দেয়ার পর ‘আহমেদ’ পরিচয় দিয়ে ফোনের অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ‘হাউ আর ইউ ক্যাপ্টেন? এভরিথিং ইজ ওকে?’ এরপরই জাহাজটি কীভাবে কোথায় নিতে হবে, তার পথনির্দেশনা দিয়ে দেয় নৌদস্যুনেতা। সে অনুযায়ী জাহাজ চলতে থাকে।

রোজার দ্বিতীয় দিন তখন। ইফতারের সময় ঘনিয়ে এলে চিফ কুককে ইফতারি তৈরি করার জন্য ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করা হয় দস্যুদের। ছোলা দিয়ে কোনোভাবে ইফতার সেরে নেন নাবিকেরা।

দ্বিতীয় দিন ইফতারের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অপারেশন আটলান্টার একটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর পিছু নেয়। যুদ্ধজাহাজ থেকে এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ভিএইচএফে নৌদস্যুদের নির্দেশনা দেয়া হয়, তোমরা জাহাজ ছেড়ে যাও। না হলে অভিযান চালানো হবে।

নির্দেশনায় কোনো কাজ না হওয়ায় যুদ্ধজাহাজ থেকে একটি হেলিকপ্টার আকাশে ওড়ানো হয়। হেলিকপ্টারটি এমভি আবদুল্লাহর চারপাশে ঘুরতে থাকে। একপর্যায়ে এমভি আবদুল্লাহর চারপাশে পানিতে হেলিকপ্টার থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। ভয়ার্ত পরিবেশ তৈরি হয়। দস্যুরা নাবিকদের দিকে অস্ত্র তাক করে রাখে। যুদ্ধজাহাজ যাতে দ্রুত চলে যায়, তা বলার জন্য ক্যাপ্টেনকে নৌদস্যুরা ভয় দেখায়। প্রাণহানির আশঙ্কায় ক্যাপ্টেন ভিএইচএফে জানান, আমরা অস্ত্রের মুখে আছি। তোমরা দূরে চলে যাও। নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য হলেও তোমরা একটু দূরে সরে যাও। প্রায় আধা ঘণ্টা পর যুদ্ধজাহাজ দূরে চলে যায়। দুই দিন ছয় ঘণ্টার মাথায় এমভি আবদুল্লাহকে সোমালিয়া উপকূলের কাছে নিয়ে যায় নৌদস্যুরা। সোমালিয়ার উপকূলের কাছাকাছি যাওয়ার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহর কাছাকাছি চলে আসে।

ভারতীয় যুদ্ধজাহাজে একজন বাংলায় কথা বলতে পারতেন। নৌদস্যুদের অস্ত্রের মুখে তাকেও চলে যেতে বলেন ক্যাপ্টেন।

যুদ্ধজাহাজ পিছু নেয়ায় দুই দফা নোঙর তুলে তৃতীয় দফায় সোমালিয়া উপকূলের জেফলের দিকে এমভি আবদুল্লাহকে নিয়ে যায় দস্যুরা। উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল তখন জাহাজটি।

সোমালিয়ার উপকূলে যাওয়ার আগে ১২ জন দস্যু জিম্মি করে রেখেছিল। জেফল উপকূলে দ্বিতীয়বার নোঙর করার সময় আরও ১০ জন নৌদস্যু অস্ত্র নিয়ে আসে।

শেষবার যখন নোঙর ফেলা হয়, তখন আরও ১৩ জন নৌদস্যু জাহাজে যোগ দেয়। সব মিলিয়ে ৩৫ জন নৌদস্যু জাহাজে ওঠে। যুদ্ধজাহাজ পিছু নেয়ায় নৌদস্যুরা জাহাজে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আসে। রকেট লঞ্চার, মেশিনগান, এম-সিক্সটিনসহ নানা রকমের অস্ত্র। দস্যুরা সার্বক্ষণিক অস্ত্র নিয়ে পাহারা দিত।

দস্যুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে তাদের বুঝিয়ে কেবিনে থাকার সুযোগ পান নাবিকেরা। কত দিনে মুক্তি মিলবে, তা ছিল অনিশ্চিত। তাই খাবারদাবার রেশনিং করা হয়। ১৬ জানুয়ারি জাহাজটি চট্টগ্রাম থেকে যাত্রা শুরু করে। পথে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দর হয়ে মোজাম্বিকের মাপুতো থেকে কয়লা বোঝাই করা হয় ।

চট্টগ্রাম ছেড়ে যাওয়ার আগে প্রায় ১৪ লাখ টাকার বাজারসদাইয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল জাহাজটির মালিকপক্ষ এসআর শিপিং (কেএসআরএম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান)। জাহাজে তিন মাসের খাবার ছিল। মাছ, গোশত থেকে শুরু করে শুকনো খাবার সবই ছিল। জাহাজে খাবার থাকলেও কত দিন জিম্মি থাকতে হয়, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। কিছুটা ভয় ছিল খাবার যদি শেষ হয়ে যায়! কারণ, আগে জিম্মি হওয়া জাহান মণি জাহাজের ১০০ দিন লেগেছিল মুক্ত হতে। দস্যুরা জাহাজে দুম্বা নিয়ে আসত। গরম পানিতে সেদ্ধ করে লবণ ও কিছু মসলা মিশিয়ে তারা তা খেত। এগুলো নাবিকদের জন্য খাওয়ার অযোগ্য ছিল। একপর্যায়ে তারা নিজেদের রান্না করার জন্য লোক নিয়ে আসে জাহাজে।

জাহাজে পানি শেষ হয়ে গেলে বিপদে পড়বে এমন আশঙ্কায় শুধু খাবার পানি সরবরাহ ঠিক রাখা হয়। বাথরুমে সাগরের পানি ব্যবহার শুরুর অনুরোধ করা হয় দস্যুদের। এতে জাহাজে থাকা পানির ওপর চাপ কমে। সপ্তাহে দুই দিন গোসল করে পানি রেশনিং করতে থাকেন নাবিকেরা ।

মুক্তি পাওয়ার দুই দিন আগে হঠাৎ দস্যুনেতা আহমেদ এসে সবাইকে ডেকে নিয়ে দাঁড়াতে বলে। সে ভিডিও করতে শুরু করে। তার কথা অনুযায়ী, ক্যাপ্টেন নাবিকদের নাম জিজ্ঞাসা করে পরিচয় করিয়ে দেন। পরে তারা এই ভিডিও তারা কেএসআরএম গ্রুপের কাছে পাঠিয়েছে। জিম্মিরা যে সুস্থ আছেন, তা দেখতে চেয়েছে কেএসআরএম গ্রুপ। নাবিকদের মনে তখন আশার সঞ্চার হয়।

দুই দিন পর আবার ডাক পড়ল সব নাবিকের। সবাইকে এক লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখে নৌদস্যুরা। রোদের দিকে সামনে তাকানো যাচ্ছিল না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখা যায়, ছোট আকারের একটি উড়োজাহাজ আসছে। অদূরে দুটি যুদ্ধজাহাজ। নাবিকেরা ভয় পেয়ে যান। কারণ, তখন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে ৬৫ জন নৌদস্যু। তাদের কাছে ভারী অস্ত্রশস্ত্র আছে। উড়োজাহাজ চলে যাওয়ার পর সবাইকে আবার ব্রিজে নিয়ে মাথা নিচু করে বসিয়ে রাখে দস্যুরা। এ সময় কী হয়েছে কিছুই দেখতে পাননি তারা। এক পর্যায়ে দস্যুদের কথায় এমভি আবদুল্লাহর নোঙর তুলে পেছনের দিকে সরিয়ে নিতে থাকেন ক্যাপ্টেন। এর আগে চারটি স্পিডবোটে করে বেশ কিছু সংখ্যক নৌদস্যু তীরের দিকে চলে যায়। জাহাজ পেছনের দিকে সরিয়ে নেয়া হতে থাকে। একপর্যায়ে দেখা যায়, রাতে তীর থেকে জাহাজের দিকে আলো ফেলে ইশারা দেয়া হচ্ছে। দস্যুরা জাহাজের ইঞ্জিন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। ইঞ্জিন বন্ধ করার পর দস্যুরা বলে, ‘ক্যাপ্টেন, কাম।’ এ সময় পাঁচটি স্পিডবোটে করে সব নৌদস্যু অস্ত্রসহ জাহাজ থেকে নেমে যায়। সোমালিয়ার সময় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টা ৮ মিনিটে অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল প্রথম প্রহরে দস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়।

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

দস্যুরা নেমে যাওয়ার পর জাহাজটি ঘুরিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করতে থাকেন ক্যাপ্টেন । নাবিকদের মনে তখন নতুন জীবন পাওয়ার স্বাদ। সবাই বাড়িতে স্বজনদের কাছে মুক্তির খবর জানাতে থাকেন। রাতের বেলায় জাহাজ চলছে। দুই পাশে তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ। সকাল হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের যুদ্ধজাহাজ থেকে নৌবাহিনীর সদস্যরা ওই জাহাজে ওঠেন। সবার সঙ্গে কথা বলেন। নাবিকেরা মনের আনন্দে ছবি তুলতে থাকেন।

আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীতে থাকা চিকিৎসকেরা সব নাবিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। নাবিকেরা ফিরছেন, তাদের ঘরে ঘরে তাই তাদের বরণ করে নিতে চলছে নানা আয়োজন।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘জাতীয় ২৩ ৩২ আবদুল্লাহর এমভি দিনের নাবিকের বর্ণনা ভয়ঙ্কর শ্বাসরুদ্ধকর
Related Posts
বাস

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলেন চালক

November 16, 2025
Evaly

ইভ্যালি ও দালাল প্লাসের ১৪০ গ্রাহক অর্থ ফেরত পাচ্ছেন

November 16, 2025
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

১৭ নভেম্বর ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

November 15, 2025
Latest News
বাস

সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুন, লাফিয়ে প্রাণে বাঁচলেন চালক

Evaly

ইভ্যালি ও দালাল প্লাসের ১৪০ গ্রাহক অর্থ ফেরত পাচ্ছেন

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

১৭ নভেম্বর ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুতি নিয়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

Police

নতুন পোশাকে মাঠে পুলিশ

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ

আজ রাজধানীর ৪ স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ

পে স্কেল

পে স্কেলের গেজেট না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি

রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ

জানা গেল রোজা ও ঈদের সম্ভাব্য তারিখ

ভিত্তিহীন

‘রাষ্ট্রদূত নিয়োগের সংবাদটি ভিত্তিহীন, অসত্য ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’

গমবাহী জাহাজ

মোংলা বন্দরে পৌঁছল যুক্তরাষ্ট্রের ৬০ হাজার ৮৭৫ টন গমবাহী জাহাজ

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নির্বাচনী ব্যয় নিয়ন্ত্রিত না হলে দুর্নীতি কমানো মুশকিল হবে : দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

  • প্রচ্ছদ
  • জাতীয়
  • অর্থনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • রাজনীতি
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • শিক্ষা
  • আরও
    • লাইফস্টাইল
    • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
    • বিভাগীয় সংবাদ
    • স্বাস্থ্য
    • অন্যরকম খবর
    • অপরাধ-দুর্নীতি
    • পজিটিভ বাংলাদেশ
    • আইন-আদালত
    • ট্র্যাভেল
    • প্রশ্ন ও উত্তর
    • প্রবাসী খবর
    • আজকের রাশিফল
    • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
    • ইতিহাস
    • ক্যাম্পাস
    • ক্যারিয়ার ভাবনা
    • Jobs
    • লাইফ হ্যাকস
    • জমিজমা সংক্রান্ত
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.