জুমবাংলা ডেস্ক : মোবাইলে আব্দুল্লাহর সঙ্গে পরিচয় হয় বীথির। সেই পরিচয় গড়ায় প্রেমে। চলে তিন মাস। এরপর প্রেমিকের টানে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আব্দুল্লাহর বাড়িতে চলে যান বীথি। সেখানেই বিয়ে হয় দুজনের। চার দিন পর সেই বাড়িতেই ঝুলন্ত লাশ মেলে বীথির।
যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার দোহাকূলা ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২০ এপ্রিল) মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত বীথি আক্তার (১৯) যশোর সদরের বাহাদুরপুর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের মেয়ে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুল্লাহর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বীথির। ১৫ এপ্রিল বীথি পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান দেখার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আব্দুল্লাহর বাড়িতে ওঠেন। সেখানে আব্দুল্লাহর পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে হয়। পরে বিয়ের বিষয়টি তার পরিবারকে জানান বীথি। মঙ্গলবার রাতে সাহরি খাওয়ার সময় উঠে আব্দুল্লাহ স্ত্রীকে বিছনায় দেখতে না পেয়ে খুঁজতে শুরু করেন। পরে পাশের ঘরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।
বীথির চাচা বাবু অভিযোগ করে বলেন, ‘হত্যার পর মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে তার স্বামীর পরিবারের লোকজন। বীথির মরদেহ দেখলে স্পষ্ট সেটা বোঝা যাচ্ছে। গলায় ফাঁস দিলে দাগ থাকবে। ‘ এ ঘটনায় হত্যা মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।
বাঘারপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটি জানা যাবে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।