জুমবাংলা ডেস্ক : জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের বীর ঘোষেরপাড়া এলাকায় গোলডোবা খালের ওপর প্রায় ২৫ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। এর দুই পাশে এখনো তৈরি হয়নি সংযোগ সড়ক। বছরের পর বছর ধরে সেতুটি একা দাঁড়িয়ে আছে। এটি স্থানীয় মানুষের কোনো কাজে আসছে না।
এদিকে সেতুটির কাছেই রয়েছে গ্রামীণ মাটির রাস্তা। সেই রাস্তায় সেতু না থাকায় বর্ষা মৌসুমে নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যায়। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বীর ঘোষেরপাড়া এলাকার গোলডোবা খালের ওপর প্রায় ২৫ বছর আগে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতু নির্মাণ করার পরে আর কোনো সংযোগ সড়ক তৈরি হয়নি। এভাবেই কেটে গেছে প্রায় ২৫ বছর। সড়ক নির্মাণের আগেই সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে ওই দিক দিয়ে আর সড়ক নির্মাণ হয়নি।
বর্তমানে সেতুর প্রায় ১০০ ফুট দূরে একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তায় পানি নিষ্কাশনের জন্য কোনো সেতু না থাকায় এলাকার মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে। অপরিকল্পিতভাবে নির্মাণ করায় ওই সেতু কাজে লাগেনি বলে জানান স্থানীয়রা।
সরেজমিন জানা গেছে, আবাদি জমির মাঠে গোলডোবা খালের ওপর একটি সেতু একা দাঁড়িয়ে আছে। তাতে নেই কোনো সংযোগ সড়ক। পাশের কাঁচা রাস্তা থেকে প্রায় ১০০ ফুট পূর্ব দিকে সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুটি কখনোই গ্রামের লোকজন ব্যবহার করতে পারেনি।
সেতুটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নির্মাণের বিভিন্ন তথ্য জানতে উপজেলা পরিষদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ঘোষেরপাড়া এলাকার কৃষক আলম মিয়া বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই দেখি সেতুটি। এটিতে জীবনে কেউ পা দিয়ে যাতায়াত করতে পারিনি। বর্তমানে সেতুর আশপাশে পাঁচটি সড়ক-রাস্তা রয়েছে। এর পাশের রাস্তায় একটি সেতু খুব জরুরি। এটা ভেঙে ফেলা উচিত।’
স্থানীয় কৃষক সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘সেতু এক দিনও কাজে লাগেনি, বরং ক্ষতি হয়েছে। বন্যার সময় এদিক দিয়ে লঞ্চ চলাচল করে। ওই সেতুর নিচ দিয়ে লঞ্চ চালাতে হয়, এতে সমস্যা হয়। আর বন্যার পানি এলেই মাটির কাঁচা রাস্তা তলিয়ে যায়। তখন ওই জায়গায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে, না হয় নৌকা দিয়ে চলাচল করতে হয়।’
ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুল ইসলাম লিটু বলেন, ‘সেতুটি অনেক আগেই নির্মাণ করা হয়েছে। বর্তমানে এর পাশে কাঁচা রাস্তায় আরেকটি সেতু নির্মাণ করা হবে। এলজিইডির লোকজন ওই জায়গায় সেতু নির্মাণের জন্য পরিদর্শন করেছেন।’
জামালপুরের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সায়েদুজ্জামান সাদেক বলেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে যেটুকু জানা গেছে, সেতুটি হয়তো উপজেলা পরিষদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় নির্মাণ করা হয়েছিল। এর বেশি কিছু জানা নেই।’
সূত্র : আজকের পত্রিকা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।