আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার সরকার গঠনের পরপরই কোনো মুসলিম সদস্য মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেননি। সোজা কথায় নরেন্দ মোদির নেতৃত্বে ভারতের কেন্দে গঠিত সরকারে কোনো মুসলিম সদস্য নেই। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মোদির এর আগের মন্ত্রিসভায় মুখতার আব্বাস নকভি নামে একজন মুসলিম মন্ত্রী ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মোদির দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায়ও কোনো মুসলিম মন্ত্রী ছিলেন না। এবারও যেন, মোদির আগের সরকারের ধারাবাহিকতাই বজায় থাকল। ভারতে অনুষ্ঠিত প্রায় সব জাতীয় নির্বাচনের পর প্রত্যেকবারই কোনো কোনো মুসলিম লোকসভা সদস্য ভারতীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই করে নিয়েছিলেন। এই প্রথম সম্ভবত এর ব্যতিক্রম হলো।
এর আগে, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে মোদি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সময় মুসলিম সদস্য হিসাবে নাজমা হেপতুল্লাহ শপথ নেন এবং সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী হন। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে নকভি সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী হন। এবারের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচিত ২৪ জন মুসলিম সংসদ-সদস্যের মধ্যে ২১ জনই ইন্ডিয়া জোটের। বাকিদের মধ্যে দুজন আসাদুদ্দিন ওয়াইসির অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলেমিনের এবং দুজন স্বতন্ত্র।
এর আগে, ২০০৪ ও ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের মন্ত্রিপরিষদে যথাক্রমে চার এবং পাঁচজন মুসলিম সদস্য ছিলেন। এমনকি ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের অটল বিহারি বাজপেয়ি সরকারের মন্ত্রিপরিষদেও দুজন মুসলিম ছিলেন। তারা হলেন শাহনওয়াজ হুসেন ও ওমর আবদুল্লাহ। তার আগে, ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার প্রতিমন্ত্রীও ছিলেন নকভি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।