জুমবাংলা ডেস্ক : বুড়িগঙ্গায় জাল ফেললেই ধরা পড়ছে শরীরে কাঁটাযুক্ত এক ধরনের মাছ। স্থানীয়রা একে বলছেন চগবগে মাছ। আর কেউ কেউ ডাকেন সাকার ফিশ নামে। শুরুর দিকে এই মাছ বেশি দেখা না গেলেও এখন জাল ফেললেই ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি এই মাছ এখন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি আমাদের দেশীয় প্রজাতির মাছের জন্য হুমকি।
দেশের সবচেয়ে দূষিত বুড়িগঙ্গা নদীতে বর্ষাকালে অল্পস্বল্প হলেও মাছ পাওয়া যেত কয়েক বছর আগেও। বৃষ্টি বাড়লে এখানে মিলতো শিং, মাগুরসহ দেশীয় প্রজাতির মাছ। কিন্তু আগের মতো এখন জালে দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে না।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পন্টুনের পেছনের অংশজুড়ে কিলবিল করছে শত শত সাকার মাছ। দূষিত বুড়িগঙ্গায় যেখানে মাছের দেখা মিলত না, এখন সাকারে সয়লাব।
সাকার ফিশের আসল নাম সাকার মাউথ ক্যাটফিশ। এর বৈজ্ঞানিক নাম হিপোসটোমাস প্লেকাসটোমাস। আশির দশকে অ্যাকুয়ারিয়ামের শেওলা ও ময়লা পরিষ্কার করতে এই মাছ বিদেশ থেকে আনা হয়। তবে কয়েক বছর ধরে তা ভারত, চীন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের জলাশয়ে দেখা যাচ্ছে।
সাকার মাছের পিঠের ওপরে বড় ও ধারালো পাখনা আছে। দুই পাশেও রয়েছে একই রকমের দুটি পাখনা। এর দাঁতও বেশ ধারালো। সাধারণত জলাশয়ের আগাছা, জলজ পোকামাকড় ও ছোট মাছ এদের প্রধান খাবার। যেসব পানিতে দূষণের কারণে অক্সিজেনের পরিমাণ প্রায় শূন্যের কোঠায় নেমে আসে, সেখানে অন্য মাছ বাঁচতে না পারলেও দিব্যি বেচে থাকে এই মাছ পারে। পানি ছাড়াও এটি বাঁচতে পারে কয়েক দিন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাকার মাছ দেশীয় প্রজাতির জন্য হুমকি।
এই মাছটি নিয়ে আরো বেশি গবেষণা জরুরি বলে মনে করেন অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।