জুমবাংলা ডেস্ক : ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়কে মায়ের পেট ফেটে ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশুকে ও তার দুই ভাইবোনের সহায়তার জন্য ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে। সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাংকে একটি হিসাব খোলা হয়।
যারা নবজাতক শিশু ও তার ৮ বছর বয়সী বোন জান্নাতুল ফেরদৌস এবং ৫ বছর বয়সী ভাই ইবাদতকে সহায়তা করতে চান তারা ব্যাংক হিসাবে সহায়তা পাঠাতে পারবেন।
হিসাবের শিরোনাম ‘রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক ও অপর দুই সন্তানের সহায়তার হিসাব। হিসান নম্বর: 3324101028728 সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল শাখা। হিসাব পরিচালনা করবেন ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নবজাতকের দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু।
সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আক্তারুজ্জামান দুর্ঘটনায় নিহতের পরিবারের খোঁজ নিতে যান। ওই সময় পরিবারটির হাতে ব্যাংক হিসাবের চেক বই সহ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
ইউএনও মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে নগদ ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। নবজাতকের দাদিকে প্রতিবন্ধীভাতা, একটি ভিজিডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিশুদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে একটি ব্যাকং হিসাব খোলা হয়েছে। এছাড়া পরিবারটির পাশে সবসময় প্রশাসন থাকবে।
গত শনিবার সন্তানসম্ভাবা স্ত্রীকে নিয়ে আলট্রাসনোগ্রাম করার জন্য হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ত্রিশালের আকিজ অর্থনৈতিক জোনে কাজ করা শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম। সড়ক পারাপারের সময় কোর্টভবন এলাকায় একটি পেঁয়াজবাহী ট্রাক পিষে দেয় উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, তার স্ত্রী রত্না ও ৬ বছর বয়সী মেয়ে সানজিদা আক্তারকে।
ওই সময় রত্নার পেট ফেটে বেরিয়ে আসে নবজাতক শিশু। সেই শিশুটির ডান হাত ভেঙে গেলেও বর্তমানে ময়মনসিংহ নগরীর লাবিব হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
নবজাতকের দায়িত্ব অনেকে নিতে চাইলেও অন্য দুই ভাইবোনের খবর নেয়নি কেউ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।