আরএম সেলিম শাহী : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়ায় কালঘোষা নদীর উপর সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ করে ঠিকাদার উধাও হয়েছে। ফলে এ পথে যাতায়াতকারী ১৫টি গ্রামের হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, গান্দিগাও- বাকাকুড়া রাস্তার পূর্ব বাঁকাকুড়া কালঘোষা নদী পারি দিয়ে গান্দিগাও, ডেফলাই, ভালুকা, ফুলহাড়ি, নকশী, হালচাটি গজনী, বাঁকাকুড়া, হালচাটি, পানবর, আয়নাপুর, নাচনমহুরি ও ধানশাইলসহ ১৫টি গ্রামের শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে।
কিন্তু এ নদীর উপর একটি সেতু না থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় শতশত মানুষের। জানা যায়, ১৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘবে ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি বিশ্বব্যাংকের অর্থে প্রায় ৭ কোটি টাকা এ নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ কাজ হাতে নেয়।
টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার ও নিয়োগ দেয়া হয়। শেরপুরের আক্রাম এন্টারপ্রাইজ কাজটি পান। ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর সেতু নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়। সংসদ সদস্য কে এম ফজলুল হক নির্মাণ কাজের বৃত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে ৩/১/২০২৪ তারিখের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান নবেশ খকশী, গান্দিগাঁও গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মোতালেব হোসেনসহ গ্রামবাসীরা জানান, ঠিকাদারের লোকজন গত প্রায় ৬ মাস পূর্বে কাজ বন্ধ করে চলে যায়। এতে কাজ শেষের নির্ধারিত সময়ের পরেও নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি।
স্থানীয়দের অভিযোগ সেতু নির্মাণ স্থানের পাশ দিয়ে পথচারীদের যাতায়াতের জন্য বিকল্প কোনো পথ নির্মাণ করা হয়নি। ফলে এপথে যাতায়াতকারি ১৫ গ্রামের মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আকরাম হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা শুভ বসাক বলেন, ঠিকাদারকে কাজ সম্পূর্ণ করে দেয়ার জন্য বারবার তাগাদা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর থেকে নির্মাণ কাজ শেষের তারিখ বাড়িয়ে নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।